সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সুদানে ৭২ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতি

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

খার্তুম, সুদান: সুদানে দুই পক্ষই ৭২ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্লিংকেন।

সুদান থেকে এখন কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। কিন্তু, যারা এখনো সে দেশে আছেন, তাদের নিয়ে প্রতিটি দেশই চিন্তিত। এ ৭২ ঘণ্টায় তাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ গতি পাবে।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ব্লিংকেন ঘোষণা করেন, সেনা-প্রধান ও বর্তমান শাসক বুরহান এবং আধাসামরিক বাহিনীর প্রধান দাগালো ৭২ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছেন। এর জন্য ৪৮ ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করতে হয়েছে।

গেল নয় দিনে সুদানে তিন বার সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু, তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কিন্তু, এখন সব দেশ তাদের কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। তাই, সংঘর্ষবিরতি খুবই জরুরি। ব্লিংকেন জানিয়েছেন, সকলের সাথে কথা বলে সুদানে দীর্ঘ মেয়াদী সংঘর্ষবিরতির চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

আধাসামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুদানের সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে পারেন, হাসপাতালে যেতে পারেন ও বিদেশিরা সুদানের বাইরে চলে যেতে পারেন, তার জন্য সংঘর্ষবিরতিতে তারা রাজি হয়েছেন। তারা এ সংঘর্ষবিরতি পুরোপুরি মেনে চলবেন। কিন্তু, অপর পক্ষ যেন এ সময় কোন সহিংসতা না করে।

জাপানি দূতাবাস বন্ধ: যুক্তরাষ্ট্র আগেই তাদের দূতাবাস বন্ধ করেছিল। জাপানও এবার একই পথে হাঁটল। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানিয়েছেন, ৪৫ জন নাগরিককে সুদান থেকে জাপানে নিয়ে আসা হয়েছে। ইথিওপিয়া ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় ১২ জন জাপানি নাগরিককে সুদানের বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রস্তাব: মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সুদানে দুই পক্ষের সাথে কথাবার্তা চালাচ্ছে। গেল কয়েক দিনে আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের মত: জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস বলেছেন, ‘সুদানের এ সংঘর্ষের ফলে পুরো এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে।’ নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেছেন, ‘অবিলম্বে এ সংঘর্ষ বন্ধ করতে হবে ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলিকে গণতন্ত্রের পথে আনতে হবে।’

গুতেরেস বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যতটুকু ক্ষমতা আছে, তা দিয়ে সুদানে সংঘর্ষ থামাতেই হবে। সুদানের মানুষ এখন ভয়ংকর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’