ওয়াশিংটন: সমলিঙ্গের বিয়ে সংক্রান্ত বিল পাস করল মার্কিন সেনেট। এখন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তা বিচার করে দেখবে। খবর ডয়চে ভেলের।
২০১৫ সালের রায়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গ ও সমবর্ণের বিয়েতে সায় দিয়েছিল। এখন সুপ্রিম কোর্ট ফের ওই সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। ফলে রক্ষণশীলদের প্রাধান্যে থাকা সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের বিয়ে বন্ধ করতে পারে ও গর্ভপাতের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সেনেট সমলিঙ্গের ও সমবর্ণের বিয়ে সংক্রান্ত বিল পাস করেছে। ডেমোক্র্যাটরা তো বটেই, ১২ জন রিপাবলিকান সদস্যও বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিলটি সেনেটে ৬১-৩৬ ভোটে জয়ী হয়েছে।
বিলটি এবার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে যাবে। সেখানে পাস হলে বাইডেনের কাছে তা পাঠানো হবে। বাইডেন অবশ্য সেনেটে বিল পাসের পর জানিয়েছেন, সেনেটে রেসপেক্ট ফর ম্যারেজ আইন পাস হওয়ার অর্থ, যুক্তরাষ্ট্র ফের তাদের মৌলিক সত্যটা স্বীকার করে নিচ্ছে, ভালবাসার অর্থ ভালবাসাই। আমেরিকানরা তাদের ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারবে।
এ বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ দিন ধরে বিভক্ত। বিল পাস হওয়ার পর সেনেটের নেতা চাক শুমের জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়কে ন্যায় দেয়ার ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ নেয়া হল। ডেমোক্র্যাটরা দ্রুত এ বিল পাস করাতে চাইছেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর সেনেটে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর হাউসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। নতুন কংগ্রেস জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করবে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে সমলিঙ্গের বিয়ে এখন আইনসঙ্গত। ১৯৬৭ ও ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট এ রায় দিয়েছে। কিন্তু গত জুনে সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাত নিয়ে আগের সিদ্ধান্ত বদল করে। তারপর এখন সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কি তাদের সিদ্ধান্ত বদল করবে, এনপ্রশ্ন উঠেছে।
এনপরিপ্রেক্ষিতে নতুন বিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নতুন বিলে বিয়ের সংজ্ঞা বদল করা হয়েছে। আগে বলা হয়েছিল, ‘বিয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে হবে।’ এখন বলা হয়েছে, ‘লিঙ্গ, বর্ণ, জাতি, দেশ নির্বিশেষে বিয়ে করা যাবে।’