/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: অর্থ পাচার মামলায় বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার (২১ জুন) মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে, অর্থপাচার মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে আবুল কাশেমকে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
শুক্রবার (২৩ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় গেল বুধবার মধ্যরাতে আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে, বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে।
তিন আরো বলেন, ‘আবুল কাশেমকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠালে বিচারক রোবাবর (২৫ জুন) শুনানির তারিখ ধার্য করেন। একই সাথে আবুল কাশেমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, গত ২১ জুন অর্থ পাচারের এক মামলায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদারসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। অন্যরা হলেন আবুল কাশেম, আলেশা মার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মঞ্জুর আলমের স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী এবং আলেশা মার্টকে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসকে ট্রেডার্সের মালিক মো. আল মামুন। আবুল কাশেম গ্রেফতার হলেও অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
গেল ২১ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পাশাপাশি, তাদের সম্পত্তি অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের পদ পাওয়ার জন্য ও শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে হাজারো গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর আলম ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে দিয়েছিলেন।’
