সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্র বিপুল জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি

রবিবার, জুন ৩০, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: ডেমোক্র্যাট প্রাইমারি ইলেকশন ক্যাম্পেইনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন কিংবা কর্মসংস্থান, সবক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বসবাসরত বাংলাদেশী, সাউথ এশিয়ানসহ সব কমিউনিটির অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস পিপল আপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট আবু জাফর মাহমুদ। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দেশে, প্রবেশাধিকার সহজীকরণ করলেও বিপুল জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি।

গেল ১৪ জুন নিউইয়র্কে বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিতে তাদের ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতন করতে জ্যাকসন হাইটস ডাইভার্সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ডেমোক্রেট ইলেকশন সমাবেশ। আবু জাফর মাহমুদের আহ্বানে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেসিকা গঞ্জালেজ রোহাস, অ্যাসেম্বলি মেম্বার স্টিভেন রাগা, কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃ্ষ্ণান প্রমুখ।

নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশীসহ দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিকে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান আবু জাফর মাহমুদ। সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রেওর স্বার্থ সুরক্ষার সর্বোচ্চ অবদানের ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রাটদের পক্ষে গণজাগরণের কথা তুলে ধরেন তিনি। তুলে ধরেন পিপল আপের অভিযানের বিভিন্ন দিকও।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যত মানুষ বসবাস করেন, তারা নিবন্ধিত হোক বা নিবন্ধন বহির্ভূত হোক, সকলের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হবে। তাদের সবাইকে হেলথ কেয়ার সার্ভিস দিতে হবে। যাদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকার সুযোগ দেয়া হয়েছে, তাদের বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী যারা গবেষণা করবে, ওদেরকে স্বাধীনতা দিতে হবে, স্বাধীন মতামতের সুযোগ দিতে হবে। তাদের গ্রেফতার করা চলবে না। তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না। যুক্তরাষ্ট্রের যেসব শিক্ষার্থী আসে, তারা সকলে মেধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসে। তাদেরকে এ দেশে পড়াশোনা শেষ করে এ দেশ থেকে পাঠিয়ে না দিয়ে এ দেশে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিকত্ব দিতে হবে। তাহলে তাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রও লাভবান হবে।’

জেসিকা গঞ্জালেজ রোহাস বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশি ভাই-বোনদের জন্য, যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষত নিউইয়র্কে বসবাসকারী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর ভাই-বোনদের আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি এর পূর্বেও জ্যাকসন হাইটেসর এ ডাইভারসিটি প্লাজায় এসেছি, আমাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে, আশা নিয়ে। এটি সত্যি সৌভাগ্যের ব্যাপার যে, আবু জাফর মাহমুদের সমর্থন ছাড়া এখানে এত জমায়েত সম্ভব হতে না।’

স্টিভেন রাগা বলেন, ‘কুইন্স অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, উড সাইড, এলমহার্স্টে বসবাসরত মানুষদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি সৌভাগ্যবান যে, প্রাইমারি ইলেকশনের এ দৌড়ে আমি নেই । কিন্তু আমরা জানি, সামনের দিনগুলো অমসৃণ আমাদের কষ্ট করতে হবে আরো। আমরা আজ এখানে ডেমোক্রেটদের জয়ী করার প্রত্যয়ে সমবেত হয়েছি। তারপরও বলবে, সঠিক মানুষকে নিবার্চনে জয়ী করার জন্যও আমরা একত্র হয়েছি।’

শেখর কৃ্ষ্ণান পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের এ যাত্রায় নিউইয়র্ক সিটির সব অফিসে আরো সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে।