/ 
প্রিন্ট করুন
ডেস্ক রিপোর্ট: পৃথিবীতে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধের জন্য একাধিক টিকা রয়েছে। টিকা আমাদের অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই, সব নারীরও উচিত টিকা সম্পর্কে সচেতন হওয়া ও সময়মত এটি নেয়া। তাহলেই বিভিন্ন গুরুতর রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে। চলুন জেনে নিই, নারীদের কোন কোন টিকা নেয়া খুব জরুরি। খবর বোল্ড স্কাইয়ের।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ভ্যাকসিন (এইচপিভি): এইচপিভি সংক্রমণ হল সবচেয়ে সাধারণ যৌনবাহিত সংক্রমণগুলোর মধ্যে একটি। চিকিৎসকদের মতে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সার্ভিক্যাল ক্যানসার এইচপিভি ভাইরাসের কারণেই হয়। এইচপিভি টিকা এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম। ফলে, সার্ভিক্যাল ক্যানসার প্রতিরোধ হয়। এ টিকা মলদ্বারের ক্যানসার, মুখ, গলা, মাথা ও গলার ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে। এ টিকা দেয়ার আদর্শ বয়স হল ১১ বা ১২ বছর।
ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা: ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুর টিকা যে কেউ নিতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী অথবা যাদের ইমিউনিটি দুর্বল, হাঁপানি বা আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন, তাদের অবশ্যই এ টিকা নিতে হবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী বাচ্চারাও এটি নিতে পারে। কোন নারী এ টিকা না নিয়ে থাকলে, গুরুতর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হতে পারেন।
টিটেনাস, ডিপথেরিয়া ও পারটুসিস ভ্যাকসিন (টিডিএপি): এ টিকা টিটেনাস, ডিপথেরিয়া ও পারটুসিস (হুপিং কাশি) থেকে রক্ষা করে। এসব রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে। নারীরা গর্ভাবস্থার যে কোন সময় টিডিএপি টিকা নিতে পারেন। তবে, এ টিকার আদর্শ সময় হল গর্ভাবস্থার ২৭ থেকে ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে। এতে মা ও বাচ্চা সুরক্ষিত থাকবে।
হাম, মাম্পস ও রুবেলা ভ্যাকসিন (এমএমআর): হাম, মাম্পস ও রুবেলা থেকে রক্ষা করে এ টিকা। এ ভাইরাসগুলো ব্রেন ড্যামেজ, বধিরতা এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে। শিশুর বয়স ১২ থেকে ১৫ মাস হয়ে গেলে এ টিকা দেয়া যেতে পারে। দ্বিতীয় ডোজ চার থেকে ছয় বছর বয়সের মধ্যে ও আরেকটি ডোজ ১৫ বছর বয়সে দেয়া যেতে পারে।
হেপাটাইটিস বি টিকা: এ টিকাটি হেপাটাইটিস বি থেকে রক্ষা করে। এ ভাইরাস লিভারের রোগ ও লিভার ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এ টিকা সব নবজাতককে দেয়া হয়। তবে, যারা এ টিকা মিস করে যান, তাদেরকে এ তিনটি টিকার সিরিজ যে কোন সময় দেয়া যেতে পারে।’
