শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

রাখাইনের সহিসংতা নৃশংসতার দিকে চলে যেতে পারে

বুধবার, মে ২২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
ম্যাথিউ মিলার

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার (২১ মে) এ কথা জানিয়ে বলেছে, ‘রাখাইনের সহিসংতা নৃশংসতার দিকে চলে যেতে পারে।’

নভেম্বরে আরাকান আর্মি (এএ) নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ করার পর থেকে রাখাইনে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। যা ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর করা যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে।

শহরগুলোকে জ্বালিয়ে দেয়া ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংবাদ উদ্ধৃত করে এসব কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানও সপ্তাহান্তে একই রকম সতর্কতা জারি করে বলেছেন, ‘জাতিগত রাখাইন ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা চলছে এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এ উত্তেজনাকে আরো প্ররোচিত করছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রাখাইন রাজ্যে ও পুরো দেশে আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর ইতিহাস ছাড়াও রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অন্যান্য অপরাধের ঘটনা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘বর্তমান বর্ধিত সহিংসতা ও আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরো নৃশংস ঘটনা ঘটার ঝুঁকি বাড়িয়েছে।’

ম্যাথিউ মিলার সামরিক শাসক ও সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহয়তার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আরাকান আর্মি হল মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে একটি, যাদের মধ্যে অনেকেই ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে স্বায়ত্তশাসন ও লাভজনক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আরাকান আর্মি ২০১৯ সালে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এবং এ সময়ে এতে প্রায় দুই লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

বলে রাখা ভাল, সেনাবাহিনী ২০১৭ সালে সেখানে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে; যা এখন জাতিসংঘের গণহত্যা আদালতের মামলার ব্যাপার।