বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত হল মাইম ডিরেক্টর’স মিট- ২০২৪

সোমবার, মার্চ ৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

রাঙ্গামাটি: রাঙামাটি জেলায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী মাইম ডিরেক্টর মিট- ২০২৪ এ অংশ নিয়ে দেশের মাইম আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে মূকাভিনয় পরিচালক ও সংগঠনের সদস্যরা আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় রাঙ্গামাটির জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশান এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যা শনিবার (২ মার্চ) শেষ হয়।

ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৬০টি দলের মূকাভিনয় শিল্পীরা এ আয়োজনে অংশ নেন, যার মধ্যে ছিল একক বক্তৃতা, সেমিনার, মুক্ত আলোচনা, প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন ও অন্যান্য। শুক্রবার (১ মার্চ) অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নাট্যকার ও নির্দেশক ঝিমিত ঝিমিত চাকমা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফেডারেশানের সহ-সভাপতি সোলেমান মেহেদী। একক বক্তৃতা দেন ফেডারেশানের চেয়ারম্যান জাহিদ রিপন। ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল মাহাবুব আলম ও জাহিদ রিপন বিদেশে পারফরম্যান্সের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
সেমিনার মূকাভিনয়: সমাজ ও রাজনীতি, বিকালে অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে ফেডারেশনের প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল রিজোয়ান রাজনের মূল প্রবন্ধ পড়েন বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশানের অর্থ সম্পাদক মেজবাহ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জাহিদ রিপন

ফেডারেশানের সাবেক সভাপতি ইস্রাফিল আহমেদ রঙ্গন সেশনে অংশ নেন। সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও মূকাভিনয় প্রদর্শনী হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকার মিরর মাইম থিয়েটার, নারায়ণগঞ্জের মাইম ফেইস, সাইলেন্ট থিয়েটার, চট্টগ্রাম ও রংপুরের মুক্ত বিহঙ্গ মূকাভিনয় মঞ্চস্থ করেন।

সমাপনী দিনে, অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাঙামাটির বিভিন্ন পর্যটন স্থান দেখেন।
সোলেমান মেহেদী ফেডারেশান আয়োজিত মাইম ডিরেক্টর ‘স মিটের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।

জাহিদ রিপন বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর ঢাকার বাইরে ডিরেক্টর’স মিটের আয়োজন করি। কারণ, আমরা আন্দোলনকে পুরো দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

এর পূর্বে, বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশান টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ডিরেক্টর’স মিটের আয়োজন করেছে।

জাহিদ রিপন উল্লেখ করেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মূকাভিনয় দল শোতে তাদের প্রযোজনা প্রদর্শনের সুযোগ পাবে।

আয়োজন দুটি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রথম পর্বে সঞ্চালনা করেন মাহবুব আলম। দ্বিতীয় পর্বে মূকাভিনয় প্রদর্শনীর সঞ্চালনা করেন মেজবাহ চৌধুরী।