শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে উত্তর কোরিয়াকে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
ম্যাথিউ মিলার

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করলে উত্তর কোরিয়াকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি বিদ্যমানগুলোকে কঠোরভাবে কার্যকর করার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ সতর্কবার্তা দেন। তবে, এই নিষেধাজ্ঞা কার ওপর আরোপ করা হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। খবর আলজাজিরার।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করতে ট্রেনে করে মস্কো সফরে গেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন। এরই মধ্যেই নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিল যুক্তরাষ্ট্র।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সহায়তাকারী সবাইকে ‘জবাবদিহি’ করতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

‘আমি উভয় দেশকেই মনে করিয়ে দেব যে, উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ায় অস্ত্র হস্তান্তর করা হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের লঙ্ঘন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অর্থায়নকারী সব পক্ষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কঠোর প্রয়োগ করেছি, সামনের দিনেও তা সে রকমই থাকবে ও প্রয়োজন হলে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেও দ্বিধা করব না।’

নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া নাকি দুই দেশের ওপরই আরোপ করা হবে, তা স্পষ্ট করেননি মিলার।

তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ও বৈঠকের ফলাফল কী হয়, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করবে।’

এরইমধ্যে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া উভয় দেশই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার আওতায়। মস্কো ও পিয়ংইয়ং নিশ্চিত করেছে, সামনের দিনগুলোতে পুতিন ও কিম দেখা করতে চলেছেন।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক ফোরামের একটি ইভেন্টে যোগ দিতে দেশটির সুদূর পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দরনগরী ভ্লাদিভোস্তকে গেছেন পুতিন। মূলত এই শহরেই ২০১৯ সালে কিমের সাথে দেখা করেছিলেন তিনি।

কিম জং উনকে ‘আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও অচ্ছুত’ আখ্যা দিয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘কিমের কাছে সহযোগিতা চেয়ে পুতিন এটিই দেখাচ্ছেন যে, ইউক্রেনে চালানো তার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন ছিল একটি কৌশলগত ব্যর্থতা। এর চেয়ে ভাল প্রমাণ আর হতে পারে না। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর দেড় বছর পরে এসে পুতিন কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে তার লক্ষ্য অর্জনেই ব্যর্থ হননি, কিম জং উনের কাছে সামরিক সহায়তা ভিক্ষা করতে তাকে নিজ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়ে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে।’

মিলার বলেন, ‘আমাদের মূল্যায়নে ইউক্রেনীয়রা পাল্টা আক্রমণে উন্নতি করছে। তাদের বাহিনীর সক্ষমতার ওপর আমাদের আস্থা আছে।’

গেল দুই সপ্তাহ ধরেই বার বার উত্তর কোরিয়াকে রাশিয়াযর কাছে অস্ত্র বিক্রি না করার আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ম্যাথিউ মিলারকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কিম-পুতিনের বৈঠকে অস্ত্র চুক্তি হওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেন উদ্বিগ্ন। জবাবে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই সামাজিকতার লক্ষ্যে তারা দেখা করছে না।’