রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলের পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধান শেখ হাসিনা। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এর আগে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আট জনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যায়। পরে তারা দলের প্রার্থী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে কমিশন কার্যালয়ে ঢুকেন। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফারুক খান, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।

সবকিছু ঠিক থাকলে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হবেন। এর আগে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় বারের মত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার নেন মো. আবদুল হামিদ। সেই অনুযায়ী তার পাঁচ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।

ইসির সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ও জনসংযোগ শাখার পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে দুইটি মনোনয়ন পত্র দাখিল করে। সাংসদ ওবায়দুল কাদের ও মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ দুইটি মনোনয়ন পত্রেই প্রস্তাবক ও সমর্থক।’

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন পত্রগুলো পরীক্ষা করা হবে। এরপর আইন ও বিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিকাল চারটা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেনি। সে ক্ষেত্রে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনই দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি এটা প্রায় নিশ্চিত।

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা ও তার স্ত্রী প্রফেসর রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পেশায় একজন আইনজীবী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্ম নেন। তিনি ইতিপূর্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগ দেন ও ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি-জামাত জোটের নেতা-কর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্র জীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর তিনি কারাবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।