মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

শিরোনাম

রোববার চট্টগ্রাম জেলায় ভিটামিনি ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

বৃহস্পতিবার, জুন ১৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: পুরো দেশের মত আগামী রোববার (১৮ জুন) চট্টগ্রাম জেলায় অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩। ওিই দিন সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার স্থায়ী, ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (দুই লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালীন চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ড, ১৬টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র ও চার হাজার ৮০০ অস্থায়ী কেন্দ্রে মোট আট লাখ ২০ হাজার ৪৮০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৯৪ হাজার ৯১ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (এক লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সাত লাখ ২৬ হাজার ৩৮৯ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (দুই লাখ আইইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ে সাংবাদিক ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এসব তথ্য জানান। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি। উপস্থিত ছিলেন এমওডিসি ডাক্তার মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, এমওসিএস ডাক্তার মো. নওশাদ খান ।

কর্মশালায় মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য এ ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। আগামী রোববার (১৮ জুন) সকাল আটটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত উপজেলাগুলোতে ৫৪ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ২০০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫৪০ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৭৪৮ জন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী, ১৯৬ জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, নয় হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৫ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, ৫১১ জন সিএইচসিপি ও ৮৫ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সব ধরনের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটাামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে। শিশুর জন্মের সাথে সাথে মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে এবং ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু দেয়া যাবে না। শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। কোন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে যাতে বাদ না যায় সে দিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।’

মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশু যাতে ওই দিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল পায়, সে লক্ষ্যে সবখানে মাইকিং করে জনগণকে জানান দেয়া হবে। ভ্রমণে থাকাকালীনও রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরী ঘাট ও লঞ্চ ঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে সরকারী প্রতিষ্টান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো কাজ করবে। সরকারী কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে এ কর্মসূচী সফল হবে।’