বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কর্মকর্তাদের সাথে ঢাকার বৈঠক

বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন চলমান রোহিঙ্গা সংকট ও বৈশ্বিক অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের ওপর চাপানো একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা দীর্ঘ স্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বৈঠকে সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে বলা হয়, ‘এর মাধ্যমে সম্ভাব্য সমাধানগুলো খুঁজে বের করে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনকে সহজতর করতে পারে।’

বৈঠকে ব্যাপক বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা জনগণের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে- এমন একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে ও তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের পরে এখানে এসেছে, যাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছে এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠীগুলো এটিকে ‘গণহত্যা’ হিসাবে অভিহিত করেছে।

গেল সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও দেশে ফেরত যায়নি। মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কারণে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা দুই বার ব্যর্থ হয়েছে।

একই দিনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সাথে পৃথক বৈঠক করেন। এ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুও ছিল রোহিঙ্গা সংকট। উভয় পক্ষই বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা, মঙ্গল ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায়গুলো খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন।

পোপ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন ও নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক পদ্ধতিতে অভিবাসন পরিচালনার জন্য দেশটির প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেন।

তিনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চলমান প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য আইওএমের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।