রাউজান, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস চাপায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাপারটি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গেল সোমবার (২২ এপ্রিল) মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হল।’
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘ছাত্রদেরকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটার মধ্যে ও ছাত্রীদেরকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল নয়টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হল। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহর গমনাগমন করবে।’
এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাস্তায় একটি বাসে আগুন দেয় তারা।
এর পূর্বে, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল চারটার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ এলাকায় বাসের সঙ্গে মোটর বাইকের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত ও একজন আহত হন। নিহতরা হলেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত জাকারিয়া হিমু পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় দশ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা টানা চতুর্থ দিন আন্দোলন করছে। গাছ ফেলে ও ব্যারিকেড দিয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছেন তারা।