সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সীমিত হচ্ছে নিউইয়র্ক রাজ্যে

শুক্রবার, জুন ২১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: অধিক হারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে লাগাম টেনে ধরছে নিউইয়র্ক রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজ্যের গভর্নর ক্যাথি হোকুল এ সংক্রান্ত নয়া বিলে সই করেছেন।

নয়া এ বিল অনুযায়ী, বাবা-মায়েরা সন্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কনটেন্টের ওপর লিমিট সেট করতে পারবেন। সন্তান কি ধরনের কনটেন্ট দেখতে পারবেন, তার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পাবেন অভিভাবকরা। প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত শিশুরা কেবল ১৮ বছরের নিচের উপযোগী কনটেন্টগুলোই দেখতে পারবেন।

বিলটি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ব্যবহারকারীর বয়স ও বাবা-মায়ের সম্মতি যাচাই করার প্রক্রিয়া নির্ধারণের জন্য নিয়ম তৈরি করবেন। নিয়ম চূড়ান্ত হওয়ার পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সংস্থাগুলো তা বাস্তবায়নের জন্য ১৮০ দিন সময় পাবেন।

এ দিকে, রাজ্যের গভর্নরের এমন বিল সইয়ের পর থেকে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য আসছে। অভিভাবকরা বিলটিকে সাদরে গ্রহণ করলেও বহু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এর বিপক্ষে কথা বলছেন। নেটচয়েস নামে প্রযুক্তি শিল্প বাণিজ্য গোষ্ঠী এ আইনটিকে অসাংবিধানিক বলে সমালোচনা করেছেন। সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল কাউন্সেল কার্ল সাজাবো বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ আইন নিউইয়র্ক রাজ্যের বাকস্বাধীনতা ও উন্মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর একটি বাধা।’

এ দিকে, অভিভাবক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মতে, এ সিদ্ধান্ত শিশুদের জন্য উপকারী হবে। এর মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক ও মানিসিক ঝুঁকি কমবে।

ক্যাথি হোকুল বলেন, ‘আমরা আমাদের বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারি। আমরা সংস্থাগুলোকে এখন বলতে পারব, আপনাদের এটি করার অনুমতি দেয়া হয়নি। বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের জীবন ও তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বলা উচিত। আমরা আশা করি, এ বিল শিশুদের বহু সময় বাঁচিয়ে দিবে, তাদের ভুল চিন্তা-ভাবনা কমিয়ে দিবে।’

এর পূর্বে, গেল সপ্তাহে ক্যাথি হোকুল রাজ্যের স্কুলগুলোতে স্মার্টফোন ব্যবহারের ব্যাপারে কড়াকড়ির বিষয় সমনে আনেন। মূলত রাজ্যের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যোর অবনতি হওয়া থেকে রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বলে রাখা ভাল, গবেষণায় দেখা গেছে, বাচ্চারা দিনে গড়ে তিন ঘন্টা বা তার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায়। যা তাদের উদ্বেগ ও বিষণ্নতার ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়। গড়ে কিশোর-কিশোরীরা ওসোশ্যাল মিডিয়াতে দিনে প্রায় ৪.৮ ঘন্টা ব্যয় করেন। যা তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে।