ঢাকা: ‘সরকারপন্থী দল ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল ‘পাতানো’ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না।’ বলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘শহীদ জিয়া, মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এতে নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের প্রশ্নে কোন ধরনের আপস না করে তাদের দল আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে খেলা চলছে। কে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে? সরকারপন্থী দল ছাড়া অন্য কোন দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা হয় ক্ষমতাসীন দল অথবা ১৪ দলীয় জোট, মহাজোট ও সরকারের গঠিত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সুতরাং, আমার নিকট বিস্ময়কর যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের অহেতুক এ ধরনের নির্বাচনের জন্য গ্রাম থেকে গ্রামে পাঠানো হচ্ছে। তারা কী করবে?’
বিএনপি এ নেতা প্রশ্ন তোলেন, ‘দেশে যখন বহু দরিদ্র মানুষ অনাহারে ও দুর্ভোগের শিকার, তখন সরকার কেন পাতানো নির্বাচনের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা খরচ করছে।’
কারাবন্দী বিএনপির নেতারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে এক মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের দল কখনই নির্বাচনের নামে কোন খেলায় অংশ নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পূর্বেও বলেছি ও ভবিষ্যতেও একই কথা বলব যে, গণতন্ত্র, জনগণের ভোটাধিকার ও শাসনের প্রশ্নে আপোষের কোনো সুযোগ নেই। জনগণ যা সমর্থন করবে আমরা তাই করব।’
তিনি সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
‘জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই নির্বাচিত হবে ও রাষ্ট্র চালাবে।’
অন্যথায়, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান নজরুল ইসলাম।