আবদুচ ছালাম: তিন দিক হতে বঙ্গোপসাগর পরিবেষ্টিত বঙ্গীয় ব-দ্বীপ। হিমালয় ও হিমালয়ের বর্ধিত পর্বত হতে জলধারা বুকে নিয়ে আঁকা বাঁকা পথে ব-দ্বীপের বুকে শৈল্পিক চিত্র এঁকে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে বহু নদ-নদী। আবার জোয়ারে বঙ্গোপসাগরের জলরাশি এসব নদ-নদীকে ছাপিয়ে অসংখ্য খাল হয়ে প্রবেশ করে মাঠ, ঘাট, পুকুর, ডোবা ও বিস্তীর্ণ প্রান্তরে। ভাটায় এ জলরাশি আবারো বঙ্গোপসাগরে নেমে গেলেও বিস্তীর্ণ প্রান্তরে রেখে যায় উর্বর পলি, খাল, বিল, ডোবা ও পুকুরে রেখে যায় অসংখ্য প্রজাতির সামুদ্রিক ছোট ও মাঝারি আকৃতির মাছ ও প্রাণী। তাই, এ বাংলার মাটি অত্যন্ত সুজলা, সুফলা ও শস্য-শ্যামলা আর মাছে মাছে ভরা জলাশয়। তাই, বহুকাল আগেই মাছে ভাতে বাঙালি বলে একটি প্রবাদ বাক্য চালু হয়ে এসেছে। পাহাড়, সমুদ্র, উপত্যকাময় বাংলার বায়ু অত্যন্ত নির্মল ও চমৎকার নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া। বাংলার এমন অপরূপ রূপ আর সমৃদ্ধিতে আকৃষ্ট হয়ে ব্রিটিশ বেনিয়ারা এ দেশে বাণিজ্য করতে আসেন। কিন্তু, লোভাতুর এ বেনিয়া গোষ্ঠী ছলে বলে কৌশলে বাংলার শাসনভার নিজেদের হাতে তুলে নেয়। ২০০ বছরের নিঠুর শাষণে ব্রিটিশ বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলাসহ সারা ভারতবর্ষের মানুষের পায়ে দাসত্বের শৃঙ্খল পড়িয়ে রেখেছিল। রক্তঝরা শত সংগ্রামের ১৯৪৭সালে ব্রিটিশরা বিতাড়িত হলে দ্বি-জাতি তত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি পৃথক স্বাধীন রাস্ট্রের জন্ম হয়। ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সভ্যতা, আচার-আচরণ, রীতি-নীতি, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদ ও অঞ্চলগত বিস্তর ফারাক থাকা সত্বেও পূর্ব বাংলাকে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেয়া হয় অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় সম্প্রদায়গত মিল থাকার অজুহাতে। পশ্চিম পাকিস্তানীরা শাসকের আসনে আসীন হয়েই পূর্ব বাংলার মানুষের সাথে প্রবঞ্চনা শুরু করে দেয়। এক বছর না পেরোতেই উর্দূকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করে তারা বাংলা ভাষার উপর চরম অপমান করে ও বাঙালিকে জাতি হিসেবে পিছিয়ে রাখার ঘৃন্য, ষড়যন্ত্র শুরু করে দেয়। শুধু তাই নয়, পর্যায়ক্রমে তারা বাংলার শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে থাকে। পূর্ব বাংলায় উৎপাদিত কৃষি ও শিল্পজাত পন্য পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে পূর্ব বাংলার মানুষকে তা চড়া মূল্যে বিক্রি করেছে। সরকারী চাকুরী, পুলিশ, সেনা বাহিনীতে বাঙালিদের নিয়োগে ব্যাপক অনীহা ও সীমিত করে রাখতে শুরু করে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী।
পাকিস্তানীদের এমন হীন মানসিকতা ও আচরণের প্রতিবাদে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতি হিসেবে বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন। এ জন্য তাকে দীর্ঘ কারাভোগ এমনকি ফাঁসির মঞ্চে পর্যন্ত দাঁড়াতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অসীম ত্যাগ, আপোষহীন বলিষ্ট নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক হয়ে ওঠেছিল। তাই, ৭০এর নির্বাচনে বাংলার মানুষ নৌকা প্রতিকে বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিয়ে নিরঙ্কুশ বিজয়ী করে বাংলার স্বাধীকারের পক্ষে অবস্থান নির্দিষ্ট করেছিল। কিন্তু, নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরও পশ্চিমা স্বৈর শাষক বাঙালি তথা শেখ মুজিবের হাতে বাংলার শাসন ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানা তালবাহানা শুরু করে দেয়। বাঙালি চরম দ্রোহে বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। ১৯৭১এর ৭ মার্চে রমনার রেসকোর্স ময়দানের রাখা ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন এবং ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
এরপর ২৫মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির উপর হামলা ও নারকীয় তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক গণহত্যা, অগ্নি সংযোগ, লুটতরাজ চালিয়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং পশ্চিমা হানাদারদের প্রতিরোধে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাংলার মানুষকে আহবান জানান, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ আর আড়াই লক্ষ মা বোনের ইজ্বতের বিনিময়ে পাকিস্তানী নরপিশাচদের হটিয়ে বাঙালি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় কেতন উড়িয়েছিল। যার মহমন্ত্রে বাঙালি জাতীয়তাবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলার সাড়ে সাত কোটি জনতা মরণপণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল, সেই জাতির পিতা তখনো পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী। নানা প্রেক্ষাপটের পর অবশেষে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০জানুয়ারি বাঙালির প্রাণের মানুষ, প্রাণের নেতা বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায় প্রত্যাবর্তন করেন। এ ১৯৭২ সালেই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য একটি শক্তিশালী ও মননশীল সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। এ সংবিধানের ভিত্তিতে তিনি যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত পোড়ামাটি ও ধ্বংসস্তুপ থেকে ফিনিক্স পাখির মত গা ঝাড়া দিয়ে দেশকে উন্নয়নশীলতার দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন স্বাধীনতার শত্রু একাত্তরের পরাজিত শক্তি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাস্ট্রে পরিণত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নানামূখী ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে থাকে। স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও জয়রথ থামাতে না পেরে স্বার্থলোভী ও চাকুরীচ্যুত কিছু সেনা অফিসারকে দিয়ে ক্যু রচনা করে ১৯৭৫এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ভাগ্যক্রমে, বঙ্গবন্ধুকন্যর শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে স্বামীর কর্মস্থল পশ্চিম জার্মানীতে অবস্থান করায় সে দিন বেঁচে যান। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির অগনিত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামরুজ্জামানকে কারাগারের অভ্যন্তরে হত্যা করে এবং দেশপ্রেমিক অগণিত সেনা কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে হত্যা করে একাত্তরের পরাজিত শক্তির তল্পিবাহকরা তাদের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা তুলে নেয়। স্বাধীন সোনার বাংলার স্বপ্ন ধুলিতে ঢাকা পড়ে, সংবিধানের বুকে ছুড়ি চালিয়ে রাস্ট্র পুনরায় হাটতে থাকে পাকিস্তানী ভাবধারায়। দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে প্রবাসে শরনার্থী জীবন কাটাতে হয়েছে। দেশের মাটিতে এসে পিতা, মাতা, ভাই ও স্বজনদের কবর জেয়ারত করার সুযোগ পর্যন্ত তারা পাননি।
পশ্চিম জার্মানী ও বেলজিয়াম ঘুরে শেষে ভারতের দিল্লীতে রাজনৈতিক আশ্রয় পান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা। দিল্লীর ডিফেন্স কলোনীতে তাদের থাকতে দেয়া হয়।
১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বিভিন্ন সময়ে দিল্লিতে যান তাদের খোঁজখবর নিতে। এরপর শেখ হাসিনাকে বিচ্ছিন্ন ও ভঙ্গুগুরপ্রায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বভার নিতে রাজী করানোর জন্য আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান, আব্দুস সামাদ আজাদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও যুবনেতা আমির হোসেন আমু দিল্লিতে যান।
পরবর্তী ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওই নেতারাসহ আরো বেশ কয়েকজন নেতা দিল্লিতে যান ও ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কয়েকটি বৈঠক করেন। দেশের গণতন্ত্র আর প্রগতিশীলতার রাজনীতি ফেরাতে রাতে দুই শিশু সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াদেজ পুতুলকে ছোট বোন শেখ রেহানার কাছে রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। কাল বৈশাখীর প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি ও দুর্যোগকে তোয়াক্কা না করে সে দিন স্বাধীনতার সপক্ষের গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষের মিছিল গিয়ে জড়ো হয়েছিল কুর্মিটোলায়। কুর্মিটোলা থেকে শেরে বাংলা নগরের জনসমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ স্বাধীনতার অমর শ্লোগান ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে গর্জন তুলে প্রকম্পিত করেছিল বাংলার আকাশ বাতস। লাখো কণ্ঠে ঘোষিত হয়েছিল ‘পিতৃহত্যার বদলা নিতে/লক্ষ ভাই বেঁচে আছে, শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।’
দেশের মাটিতে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ জনতার সংবর্ধনায় আপ্লুত শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, “সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’
‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা ও ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিতেই হয়, মৃত্যকে ভয় করলে জীবন মহত্ব থেকে বঞ্চিত হয়।’
বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার কথা রেখেছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার প্রতিষ্ঠা করেছেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তিনি করেছেন। সাহসী পদক্ষেপ ও দুরদর্শী নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন শেখ হাসিনা। হতদরিদ্র রাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশকে তিনি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলায় তিনি বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়েছেন। উন্নয়ন, অগ্রগতি আর মানবতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিষ্ময়। দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা, এমজিডি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষি দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক বৃদ্ধি শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, দেশ প্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা, দায়বদ্ধতা ও পরিশ্রমেরই ফল।
১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বৈরাচারী সামরিক জিয়া সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশে না ফিরলে, স্বৈরাচারী দালাল সরকারদের পৃষ্টপোষকতায় বার বার সংঘটিত ন্যক্কারজনক হত্যা চেষ্টায় দমিত না হয়ে, মুত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ না করলে দেশ তার স্বাধীনতার উদ্দেশ্য পূরণের বিপরীতে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পাকিস্তুানের তাবেদারী করতে করতে অন্ধকারে নিমজ্জিত থেকে যেত। শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই আওয়ামী লীগ দল হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরতে পেরেছে, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাই, বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল স্বাধীনতার মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন, দেশের অগ্রযাত্রায় সঠিক পথে প্রত্যাবর্তন, হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নের সোনার বাংলার পথে প্রত্যাবর্তন।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এ দিনে আমাদের কামনা- তিনি যেন দীর্ঘজীবী হোন, নিরোগ হোন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
লেখক: সাবেক চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কোষাধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।