নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্কে আগমন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এগুলো হল- সংবাদ সম্মেলন, জেএফকে বিমানবন্দরে নেত্রীকে অভ্যর্থনা ও স্বাগতম, বিএনপি-জামাতকে প্রতিরোধ, জাতিসংঘ শান্তি সমাবেশে অবস্থান ও শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনেস যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক কমিটির আহবায়ক হিন্দাল কাদির বাপ্পা ও সদস্য সচিব নুরুল আমিন বাবুসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক কমিটি মনে করে, যুক্তরাজ্যের নেতা-কর্মীদের সাথে শেখ হাসিনার যে সাক্ষাৎকারের চিত্র আমরা দেখেছি, আমরা মনে-প্রাণে আশাবাদী হয়েছিলাম, ম্যানহাটন হোটেল লবিতে যুক্তরাজ্যের ন্যায় যুক্তরাষ্ট্রেও নেত্রী আমাদেরকে হাত উঁচিয়ে উৎসাহিত করবেন। যে কোন কারণেই হোক, নেতা-কর্মীদের সে আশা পূর্ণ হয় নি। আমরা এখনো আশাবাদী, যুক্তরাজ্যের ন্যায় যুক্তরাষ্ট্রেও নেত্রীর সাথে নেতা-কর্মীদের সাক্ষাৎ হবে।
যুক্তরাষ্টের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে গঠিত এ নাগরিক কমিটি। সুতরাং আমরা মনে করি, একটি নতুন কমিটিই পারে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী ও গতিশীল সংগঠনে রূপান্তরিত করতে।’
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার কাছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একটি নতুন কমিটি গঠন করার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ‘২০০৯-২০২১ উন্নয়নের স্বর্ণালী যুগ। উন্নয়নের প্রায় প্রতিটি সূচকেই অকল্পনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার প্রমাণ বহন করে। নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মাথাপিছু আয়, খাদ্য ও পুষ্টিপ্রাপ্তি, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-সামাজিক নিরাপত্তাসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। ভয়াবহ করোনা মহামারিতে দীর্ঘ লকডাউনও বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আটকাতে পারে নি।’