ঢাকা: জ্বালানী তেলসহ সব দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) সকালে মানববন্ধন করেছে আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন।
এতে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের আহবায়ক শওকত আমীন বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতি, লুন্ঠন ও অর্থপাচারই জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ। বিশ্ব বাজারে ছয় মাস আগেই তেলের দাম কমেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে অকটেন ও পেট্রোল দেশেই উৎপাদিত হয়। তাহলে সরকার তেলের দাম ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে কোন যুক্তিতে? তেল বিক্রি করে সরকার যে ৪৮ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছিল, সেই লাভের টাকা গেল কোথায়?’
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ খান এক বার্তায় বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে। সুতরাং দাম বাড়ানোর প্রশ্নই তো আসে না। জনকল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব দলকে যার যার অবস্থান থেকে যুগপৎভাবে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। তার মাথায় দশ নম্বর বিপদ সংকেত ঝুলছে। সময় থাকতে সসম্মানে বিদায় নেয়া উচিত।’
সংগঠনের সদস্য সচিব ইয়াকুব শরীফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা শহীদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন ও ওবায়দুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা আমীর আলী হাওলাদার, আইনুল হক, আবুল কাশেম মজুমদার, খাইরুল ইসলাম দেওয়ান।
মানববন্ধনে অন্য বক্তারা বলেন, ‘এ সরকারের উন্নয়ন হল দ্রব্যমূল্য, সন্ত্রাস, গুম, খুন, ধর্ষণ ও ভোট চুরির উন্নয়ন। ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন ও ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচনের পর সরকার এখন ইলেকট্রনিক ভোটচুরির মেশিন ইভিএমের মাধ্যমে আরেকটি ভোট চুরির নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়া হবে না ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোন নির্বাচন মেনে নেয়া হবে না।’
বক্তারা সরকারের পতন ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সব দলকে যুগপৎভাবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
সিএন/এমএ