মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শেষ হল ‘নিউইয়র্ক বাংলা আন্তর্জাতিক বইমেলা’; চার লাখ ডলারের বই বিক্রি

মঙ্গলবার, জুলাই ১৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: শেষ হয়েছে চার দিনের ‘নিউইয়র্ক বাংলা আন্তর্জাতিক বইমেলায’। সোমবার (১৭ জুলাই) মেলার শেষ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টার ছিল লোকে লোকারণ্য। পুরো দিনের কর্মসূচিতে শিশু-কিশোরদের ছিল প্রাধান্য। এ দিন রাখা হয়েছিল শিশু কিশোরদের জন্য। তাদের আয়োজনে ও অংশগ্রহণে ছিল নাচ-গান, কবিতা আবৃত্তি, ছবি আঁকা।

৩২তম এ আসরে বাংলাদেশ থেকে ২৫টি প্রকাশনা সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের দশটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। আগের মেলার তুলনায় এবার বেশি স্টল ছিল। বিক্রিও হয়েছে প্রায় এক লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও, কলকাতা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও লন্ডন থেকে লেখক-পাঠকরা যোগ দিয়েছেন মেলায়।

৩২তম নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলার আহবায়ক আব্দুন নূর বলেন,‘ চার দিন সবাই মিলে একটি পরিবারের মত ছিলাম। যারা এসেছেন মেলায় বেশিরভাগই পরিবার নিয়েও এসেছিলেন। এ মিলন মেলা ভেঙে যাওয়ায় খারাপ লাগছে। একইসাথে ভাল লাগছে মেলাটি সুন্দর ও সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে বলে।’

এবার মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরষ্কার পেয়েছেন কবি আসাদ চৌধুরী। মেলার তৃতীয় দিন রোববার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কবি আসাদ চৌধুরীর পক্ষে ক্রেস্ট ও তিন হাজার ডলার প্রাইজমানি নেন তার সহধর্মিনী সাহানা চৌধুরী ও কন্যা নুসরাত জাহান চৌধুরী। পুরস্কারটি তুলে দেন জিএফবি গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ভূঁইয়া। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থা থেকে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা’ পুরস্কার পেয়েছে নালন্দা ও কথাপ্রকাশ। এটি তুলে দেন সমাজসেবী ডাক্তার জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা বলেন, ‘চার দিনের বইমেলায় প্রায় এক লাখ ডলার বিক্রি হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক দর্শনার্থী আমাদের অনুরোধ করেছেন মেলার সময় বাড়ানোর। আগামীতে সপ্তাহব্যাপী বইমেলা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন কমিটি চিন্তাভাবনা করছে।’

তিনি জানান, বই বিক্রির পাশাপাশি মেলার সমরেশ মজুমদার মঞ্চে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, কবিতা আবৃত্তি, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।