চট্টগ্রাম: ‘শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও বৃদ্ধিবৃত্তিক রাষ্ট্র গঠনে বিতর্ক চর্চার বিকল্প নেই।’
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রথম আন্ত:স্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হল বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রথম আন্ত:স্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব হবার অর্জন করেছে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। চূড়ান্ত পর্বে বিতর্কের বিষয় ছিল ডেভেলপিং অ্যান এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড বিজনেস এনভারনমেন্ট ইজ বেটার দেন রিলাইইং অন রেমিট্যান্স ইনকাম।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেন রনজু ও বর্তমানে প্রচারিত সংবাদ ও অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে টেলিভিশনে বিতর্ক অনুষ্ঠান ছিল না। কারণ বিতর্কে অনেক সময় সরকারের সমালোচনা করা হয়। আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু করি। কারণ, সরকার সব সময় যুক্তিসংগত বিতর্ককে স্বাগত জানায়। এর মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তির সমাজের সৃষ্টি হয়।’
এতে র প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সরকার ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু করে; যা এখন বাস্তবায়িত। তারপরও আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
তিনি শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে নিজেদের তৈরি হওয়ার আহবান জানান।
সিটির ফয়েস লেকস্থ বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নূর আনোয়ার হোসেন রঞ্জুর সভাপতিত্বে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক, চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সুকান্ত ভট্টাচার্য্য বক্তব্য দেন।
প্রথম আন্তঃ স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট স্কুল ময়মনসিং গার্লস ক্যাডেট স্কুলকে পরাজিত করে। পরে, হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এবারে প্রতিযোগিতায় পুরো দেশের ৬৪টি স্কুল বিতর্কে অংশ নেয়।