শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

শ্রম অধিকারের দশ বছরের উন্নতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবে বাংলাদেশ

সোমবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: বিগত দশ বছরে শ্রম অধিকার নিয়ে কি কি অগ্রগতি হয়েছে, তা পত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবে বাংলাদেশ। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের সংশোধ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে এই উন্নতি জানানো হবে। তাছাড়া, শ্রম ইস্যুতে বাংলদেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মত কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’

শ্রম অধিকর সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নেরর অগ্রগতি পর্যলোচনায় এ বিশেষ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পররাষ্ট্র এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘কারো দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টে অনুযায়ী, বাংলাদেশের শ্রম আইনে ও শ্রম অধিকারের বিষয়গুলোর বেশ কিছু পালন করা হয়েছে। তবে, তারা চায় আরো অগ্রগতি হোক।’

সিনিয়র সচিব বলেন, ‘নূন্যতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে, এটি জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তাছাড়া, আরো কি করে শ্রমিক কল্যাণ বাড়ানো যায়, সে লক্ষে কাজ করছে সরকার।
শ্রমিক অধিকার চলমান প্রক্রিয়া, প্রতিনিয়ত কি করে আরো উন্নতি করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের কিছু শর্ত ছিল। শ্রম আইন, বেজা আইনে যুক্তরাষ্ট্রের যে চাওয়া ছিল, তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গেল কয়েক বছরে তিন বার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।’

সভায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমমান পরিস্থিতি, শ্রম আইন বাস্তবায়ন অগ্রগতি, শ্রম অধিকার ও নায্য মজুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বলে রাখা ভাল, শ্রম অধিকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, কোন দেশে শ্রম অধিকার লঙ্ঘিত হলে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। এমন নির্দেশনার পরই ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে নতুন নির্দেশনার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ।’