শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

সংঘাতের সুযোগে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বাড়ানোর নকশা যুক্তরাষ্ট্রের!

রবিবার, অক্টোবর ৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। চলমান সংঘাতে উভয়পক্ষের পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলের প্রতি সরাসরি সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ইউক্রেনের পর এবার ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বাড়াতে নতুন নকশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।’ খবর সময় টিভি অনলাইনের।

পবিত্র আল-আকসা মসজিদে হামলা ও অবৈধ বসতি স্থাপনের জবাব দিতে শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ইসরাইলে হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। উত্তরে গাজায় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে চলছে ইসরাইলের পাল্টা বিমান হামলা।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সামরিক অভিযানে মারা গেছে পাঁচ শতাধিক মানুষ। এরই মধ্যে ইসরাইলকে সমর্থনের পাশাপাশি সব ধরনের সামরিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জো বাইডেন।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যুদ্ধবাজ যুক্তরাষ্ট্রের এটিই মূল বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীর কোথাও নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য আন্দোলনের পাশে কখনো দাঁড়ায়নি। তারা বরং উৎসাহ ও সমর্থন জুগিয়েছে আগ্রাসনের পক্ষে।

পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবাধিকার নিয়েও সবক দিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু, বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনে ইসরাইলে আগ্রাসান নিয়ে কোন শব্দ নেই তাদের মুখে। বরং, যখনই সুযোগ পেয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সমর্থন জানিয়েছে ইসরাইলিদের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে কিয়েভের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন ইসরাইলকে একতরফা সমর্থনের মাধ্যমে নিজেদের অস্ত্রের ব্যবসায় আরো চাঙ্গা করতে চায় দেশটি।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সফিউল্লাহ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অস্ত্র ব্যবসায়। তারা পৃথিবীতে অস্ত্র বিক্রি করে। ইসরাইলে তো করেই, ইসরাইলের মাধ্যমে তারা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই বিভক্ত হয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবী। এখন ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত সেই পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলবে বলেও মনে করছেন এই বিশ্লেষক।

মোহাম্মদ সফিউল্লাহ আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে মানবতা নিয়ে কথা বলে, গণতন্ত্র নিয়ে তারা কথা বলে। কিন্তু, নিজেদের মধ্যেই দ্বিমুখী নীতি বহাল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা অমানবিকভাবে যুগের পর যুগ এটি করে আসছে।’

এত দিন ইসরাইলি বাহিনী কেবল ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে আসলেও, ইসরাইলে হামাসের ব্যাপক আকারে এই হামলা বিশ্বকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে বলেও মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কথা বললেও, ইসরাইলকে একতরফাভাবে সামরিক থেকে শুরু করে সব ধরনের সহায়তা দেয়ায় সেই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখছে না বলে মনে করেন অনেকে।