শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

সকলের জন্য মঙ্গল হোক ২০২৪/হ্যাপি নিউ ইয়ার

সোমবার, জানুয়ারী ১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: নয় তো কিছু নয়। শীতের কুয়াশা ছিঁড়ে আজো সূর্য উঠেছে। তবু যেন মনে হয়, নব দিন নয়া কিছু নিয়েই হাজির হয়েছে। ভোরের আলোতে যেন বেশি মায়া মাখানো। যেন অনেক স্বপ্ন, বহু আশা পূরণের বার্তা জানান দিচ্ছে এই আলো। বলছে, ‘সামনের দিনগুলোতে অনিশ্চয়তা কেটে গিয়ে শুভময়তা ছড়িয়ে যাবে- আশাজাগানিয়া কিরণ যেন সে দ্যুতিই ছড়িয়ে দিচ্ছে সকলের প্রাণে, মনে।

আজ সোমবার ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালের প্রথম দিন। সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। পুরো পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের মত আমরাও আমাদের পাঠককে জানাই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। নয়া বছরটি আনন্দে, শান্তিতে ভরে উঠুক-এই প্রত্যাশা।

গেল বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব খুঁজতে খুঁজতে নয়া বছরকে সামনে রেখে আবর্তিত হবে নতুন প্রত্যাশা, স্বপ্ন। বাংলাদেশে ইংরেজি নব বর্ষ পালনের ধরন বাংলা নব বর্ষ পালনের মত ব্যাপক না হলেও এ উৎসবের আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া থেকে বাংলাদেশের মানুষও বিচ্ছিন্ন নয়।

এবারের নতুন বছর বাংলাদেশের মানুষের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। আর মাত্র ছয় দিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশের মানুষের সামনে এই নির্বাচনকে সফল করে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব। নতুন বছর সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে উন্নয়ন ও প্রগতির পথে বাংলাদেশকে যাত্রার এক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে।

নয়া বছরে দুঃখ, কষ্ট সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ। বছরটি যেন সমাজ জীবন থেকে, প্রতিটি মানুষের মন থেকে সকল গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে। রাজনৈতিক হানাহানি থেমে গিয়ে যেন আমাদের প্রিয় স্বদেশ যেন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

২০২৪ সালকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ। দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনদের নতুন বছরের মঙ্গল কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো শুরু হয়ে গেছে ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

যিশু খ্রিষ্টের জন্ম তারিখ থেকে যে সাল গণনা শুরু হয়েছিল তাই আজ পৃথিবীব্যাপী ইংরেজি বর্ষ হিসেবে পরিচিত। তবে ১৫৮২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগোরির আদেশে এ বর্ষপঞ্জির প্রচলন হয়। সে জন্য একে গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি বলা হয়। সে বছর অল্প কয়েকটি রোমান ক্যাথলিক দেশ এ বর্ষপঞ্জি গ্রহণ করে। পরবর্তী তা প্রায় পুরো পৃথিবীতে প্রচলিত হয়।