রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়

সোমবার, জানুয়ারী ২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ‘বিদেশিদের পদলেহন ও দেশবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি ও তার মিত্ররাই বেকায়দায় পড়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাথে মত বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস ও নেতাদের মধ্যে ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশ গুপ্ত, ঈশা খান, সম্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ সভায় যোগ দেন। অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশ্যাল ও নিউ মিডিয়া) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে হচ্ছে বিরোধী দল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি, তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা, বিদেশিদের পদলেহন ও বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়া। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। কিন্তু সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকায়দায় পড়ে গেছে। এর কারণ, তারা ভেবেছিল ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করে তারা একটি বিশৃঙ্খলা করতে পারবে। সেটি তারা পারে নি ও বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি ও সামর্থ্য কতটুকু।’

তিনি বলেন, ‘এরপরও এ বছরও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। তবে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে আমরা তাদের সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা দেখেছি এবং সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং, তারা কি করতে চায়, কি করতে পারে, সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে। সেটি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুইটই আমাদের আছে। সুতরাং, সেটি আমাদের কঠিন কোন কাজ নয়।’

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি দুইটি হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি হচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরা। সেই গোঁ ধরে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে তাদের সাংসদদের বাধ্য করে পদত্যাগ করানো, এটাতেও তাদের ক্ষতি হয়েছে। এ ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হল, সেই প্রশ্নই এখন বিএনপির অভ্যন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা সেই হঠকারি সিদ্ধান্তের জবাব দিতে পারেন না তো, সে জন্য কর্মীদের কাছে উঁচু গলায় কথা বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চান, অন্য কোন কিছু নয়।’