চট্টগ্রাম: সম্প্রতি সরকার প্রবর্তিত ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এই পেনশন স্কীম চালুর মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের অর্থনৈতিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে নব দিগন্তের সূচনা করেছে।’
শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান গরীব-দুঃখী, অসহায় মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দেশের প্রতিটি মানুষ পেট ভরে খেতে পারবে, নিরাপদে ঘুমাতে পারবে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা পাবে- এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। দেশের স্বাধীনতার শত্রু ও স্বার্থান্বেষী মহলের ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর এ দেশের মানুষের না ছিল ভোটের অধিকার, না ছিল ভাতের অধিকার। সৌভাগ্যক্রমে, প্রবাসে অবস্থান করায় ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে নরপশুদের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া দুই কন্যার মধ্যে প্রথম কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুর শাসানি ও মৃত্যুকে পায়ে দলে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। আন্দোলন-সংগ্রামের কঠিন পথ চলায় শেখ হাসিনা বাংলার আপামর মানুষের প্রিয় নেত্রীতে পরিণত হন ও ১৯৯৬ সালে গণমানুষের রায় নিয়ে সরকার পরিচালনা সুযোগ পেয়েই আপামর জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য নানা ভাতা চালু করতে থাকেন। ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে ২০০১ সালে সরকার পরিচালনা থেকে ছিটকে পড়লেও গণমানুষের ভালবাসায় ২০০৮ সালে ফের রাষ্ট্র পরিচালনায় ফিরে একের পর এক ভাতা চালু করেন; যাতে সামাজিক সাম্যতা ও সব মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান করা যায়।’
রেজাউল করিম আরো বলেন, ‘সার্বজনীন পেনশন স্কীম’ চালু করার মধ্য দিয়ে দেশের সব স্তরের মানুষ অর্থনৈকিভাবে তাদের সুদৃঢ় নিরাপত্তা পাবে। বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে এ ধরনের স্কীম থাকলেও আমাদের দেশের মানুষের কাছে এটি ছিল অলীক স্বপ্ন। চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও নিম্ম আয়ের মানুষের জন্য পৃথক পৃথক ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’, ‘সমতা’ ও ‘প্রবাসী’ নামে চারটি প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে এ কর্মসূচির আওতায় আনাহবে। পেনশন স্কীম চালু করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরনের পথে আরো একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলকে ছুঁয়ে গেছেন। এতে দেশের সর্বশ্রেনীর মানুষ পেনশনের আওতায় আসার পথ উম্মোচিত হয়েছে। তাই, শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।’