বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সল্ট লেকে বিমানের ইঞ্জিন থেকে তরুণের মৃতদেহ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

সল্ট লেক, ইউটা, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা রাজ্যের সল্ট লেক সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে বিমানের ইঞ্জিনের ভেতরে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ বলেছে, ‘সে জরুরি বহির্গমন দরজা দিয়ে বের হয়ে বিমানের ইঞ্জিনের ভেতরে ঢুকেছিল।’ খবর এপির।

সল্ট লেক সিটি পুলিশ বিভাগ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ঘোষণা করেছে, কর্মকর্তারা পার্ক সিটির ৩০ বছর বয়সী কাইলার এফিঙ্গারকে একটি বাণিজ্যিক বিমানের পাখায় লাগানো একটি ইঞ্জিনের ভেতরে অচেতন অবস্থায় পেয়েছেন। তখন বিমানটিতে যাত্রী বোঝাই ছিল। এফিঙ্গারকে পাওয়ার পর যাত্রীদের বিমান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

তবে, সামগ্রিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এফিঙ্গারকে যখন পাওয়া যায়, তখন বিমাটি থেমে ছিল ও ইঞ্জিনগুলো ঘুরছিল।

এফিঙ্গার কাছ থেকে বোর্ডিং পাসসহ যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারের টিকিটও পাওয়া যায়। অর্থাৎ, তিনি একজন যাত্রী ছিলেন।

বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি দোকানের ব্যবস্থাপক রাত দশটার একটু পূর্বে বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রকে জানান, তিনি একজন যাত্রীকে জরুরি বহির্গমন দরজা দিয়ে যেতে দেখেছেন। অফিসাররা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ও রানওয়েতে এফিঙ্গারের পোশাক, জুতা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র খুঁজে পান এবং পরে তাকেও ইঞ্জিনের ভেতরে পাওয়া যায়।
খুঁজে পাওয়ার পর কর্মকর্তারা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার রুমে যোগাযোগ করেন ও বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করার জন্য পাইলটকে জানাতে বলেন।

এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) পুলিশ জানিয়েছে।

প্রথমে এফিঙ্গারকে ‘ইঞ্জিন ইনটেক কাউলিং’ থেকে টেনে নিয়ে আসা হয়। যে দিক দিয়ে ইঞ্জিন থেকে ফ্যানের মাধ্যমে বায়ু বের হয়। সিপিআরসহ ওষুধ দিয়ে তার স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করার চেষ্টা করা হলেও পরে ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

সল্ট লেক সিটি পুলিশ মৃত্যুর কারণ বের করার জন্য চিকিৎসকের সাথে কাজ করছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ এড়িয়ে জরুরি বহির্গমন দরজা দিয়ে বের হয়ে বিমানবন্দরের র‌্যাম্প এলাকায় ঢুকেছিল ও কাছাকাছি ইঞ্জিনের ভেতরে উঠেছিল।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্রকে ইমেইল ও ফোনে বর্তা পাঠালেও কোন মন্তব্য করেনি তারা।