বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সাংবাদিকদের হুমকি/কোতোয়ালী থানার ওসি জাহিদকে প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবি

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ১৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের হুমকি ও ক্যামরা কেড়ে নেয়ার ঘটনায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদকে প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে তাৎক্ষণিক সমাবেশে সাংবাদিকরা এ দাবি জানান। অন্যতায় সব সাংবাদিক সংগঠন ঐক্যবদ্বভাবে কর্মসুচী পালন করবে।

চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্ত্তী, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মহসিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শামসুল হক হায়দরী, টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লতিফা রুনা, সিইউজের সহ সভাপতি রোবেল খান, সিইউজের সহ সভাপতি অনিন্দ্য টিটু, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম ও আরিচ আহমেদ শাহ বক্তব্য রাখেন।

তপন চক্রবর্ত্তী আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাহিদকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা হুমকি দেন।

সিইউজের সিনিয়র সদস্য আরিচ আহমেদ শাহকে গ্রেফতারের হুমকি ও ক্যামরাম্যান সুমন গোস্বামীর ক্যামরা কেড়ে নেয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাহিদকে ক্লোজ না করার আগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনারের সাথে কোন বৈঠকে বসবেনা সাংবাদিকরা।’

দেব দুলাল ভৌমিক বলেন, ‘জাহিদের কোন অপকর্ম ডাকতে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের সর্ম্পকে এ ওসির কোন ধারণা নেই।’

ওসি জাহিদের অপকর্ম, অতীত কর্মকান্ড ও অনিয়ম সম্পর্কে ধারণা নিতে তিনি সিএমপির কমিশনারের প্রতি অনুরোধ জানান। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওসির বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেয়া না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে সাংবাদিকরা।

শামসুল ইসলাম বলেন, ‘যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্বে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে চট্টগ্রামের সব সাংবাদিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচির মাধ্যমে ওসিসহ পুলিশের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা হবে। সাংবাদিক আরিচ আহমেদ শাহ ও ক্যামরাম্যন সুমন দায়িত্ব পালনের সময় গ্রেফতারের হুমকি ও খারাপ আচরণ করে ওসি জাহেদের চট্টগ্রামে চাকরি করার কোন অধিকার নেই। যারা ন্যাক্কারজনক এ কাজ করে সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের দূরত্ব সৃষ্টির নেপথ্যে কাজ করছে।’

মহসীন কাজী বলেন, ‘থানার ওসি কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে যেভাবে আচরণ করেছে, সেটা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। এর আগে পাচঁলাইশ থানার ওসি নিরীহ রোগীর স্বজনদের সাথে যে আচরণ করেছে, সেটা নিয়ে পুরো দেশ তোলপাড়। এ ঘটনার কোন বিচার না হওয়ার কারণে কোতয়োলীর ওসি ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সাধারণ মানুষ থেকে গনমাধ্যম কর্মী, সবার সাথে হীন আচরন করা কিছু পুলিশ সদস্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এসব আচরণ করছে।’

অতি উৎসাহী পুলিশের এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্বে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান মহসীন।

নাসির উদ্দীন বলেন, ‘সাংবাদিকদের কোন দল নেই। সব সময় রাস্তায় থেকে দেশের জন্য কাজ করেন।কাজ করার সময় পুলিশের হুমকি ও ক্যামরা কেড়ে নেয়ার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাব না।’