নিউইয়র্ক সিটি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্যতম প্রার্থী নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান জোহরান মামদানি তাকে ডিপোর্ট করার জন্য রিপাবলিকান কাউন্সিলওম্যান ভিকি পালাডিনোর আহবানের জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মামদানি বলেন, ‘পালাডিনোর বক্তব্য কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠের প্রতিধ্বনি ছাড়া কিছু নয়। এটা কেবল ঘৃণাপূর্ণ বাগাড়ম্বর নয়, ট্রাম্প প্রশাসন নীতি কার্যকর করতে ‘আইস’ এজন্টরা যখন নম্বরবিহীন গাড়িতে নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দা তুলে নিয়ে আমাদের কমিউনিটিগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলছে এবং সংবিধানের মুখে থুতু ফেলছে, পালাডিনোর কথায় তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি বলেন যে যখন থেকে তিনি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন, তখন থেকে তাকে মৃত্যুর হুমকি, তার পরিবারকে লক্ষ্য করে ইসলামোফোবিক আক্রমণ করা হচ্ছে এবং তাকে ডিপোর্ট করার জন্য পালাডিনোর আহবান সকল উস্কানিমূলক ভাষাকে ছাড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ভিকি পালাডিনো গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’ এ এক পোস্টে জোহরান মামদানিকে আমেরিকার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ‘চরম বামপন্থী’ হিসেবে বর্ণনা করে ‘ভবিষ্যতের জোহরানদের’ থেকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন। পালাডিনো জোহরান মামদানির আমেরিকান নাগরিকত্ব ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার রাজনৈতিক বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট করার আহবান জানান।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি বলে জোহরান মামদানির এক পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে পালাডিনো যুক্ত প্রদর্শন করেন যে, যে ব্যক্তি দশ বছর পর্যন্ত নাগরিক ছিলেন না, একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য তার প্রার্থিতা ‘পাগলামি’ ছাড়া আর কিছু নয়। তাছাড়া তিনি চরম বামপন্থী, যিনি এদেশের সবকিছু ঘৃণা করেন এবং আমাদের যা কিছু আছে সেগুলোকে তুচ্ছ বিবেচনা করেন, তাকে ডিপোর্ট করা উচিত।
জোহরান মামদানি নিউইয়র্কারদের বিভক্ত করার অপচেষ্টার জন্য কাউন্সিলওম্যান ভিকি পালাডিনোর মতো ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (এমএজিএ) আহবানকারীদের চরমপন্থী বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, নিউইয়র্ক আমাদের সবার। ‘এমএজিএ’ চরমপন্থীরা আমাদের আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু আমরা যে আন্দোলন গড়ে তুলেছি, তা নিউইয়র্ক সিটির প্রতি আমাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। আমরা অন্য কোথাও যাচ্ছি না।
উল্লেখ্য, জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে ৩৬ অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট (অ্যাস্টোরিয়া) থেকে নির্বাচিত। তিনি উগান্ডায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সাত বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ২০১৪ সালে বাউডোইন কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন লাভ করেন। ২০১৮ সালে তিনি আমেরিকার ন্যাচারালাইজড সিটিজেন হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।