জিবুতি: উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে ভয়াবহ সংঘাতের মধ্যে জিবুতিতে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আফ্রিকার ছোট্ট দেশটির কাছেই নিজেদের সামরিক ঘাঁটিতে একটা বড় সংখ্যক অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘সুদান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হলে এসব সেনা ব্যবহার করা হবে।’
সুদানে গেল সপ্তাহে যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়েছিল, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সংঘাতে নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ৪১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো সাড়ে তিন হাজার জন।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, সুদানের আশপাশের অঞ্চলে আমরা অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছি। তেমন পরিস্থিতি হলে সুদান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সাহায্য করবে তারা।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যকার লড়াই ছয় দিন ছাড়িয়েছে। গেল শনিবার (১৫ এপ্রিল) সুদানের রাজধানী খার্তুমে দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ শুরু হয়। মূলত বেশ কিছুদিন ধরেই দুই বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরপর হঠাৎ করেই তা প্রবল সংঘাতে রূপ নেয়।
এ দিকে, তিন দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। ঈদ উপলক্ষে এ যুদ্ধবিরতি শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হওয়ার কথা। তবে, এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরএসএফের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও খার্তুমে উভয় বাহিনীর মধ্যে এখনো লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় অধিবাসীরা। রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় ভারী গোলা বর্ষণ ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগেও দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানালেও সংঘাত বন্ধ হয়নি। এর জন্য একে অপরকে দায়ী করে বিবৃতিতে দিয়েছে তারা।
আধাসামরিক বাহিনীর সাথে কোন সমঝোতা করবে না বলে জানিয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী। বলেছে, তারা শুধু আত্মসমর্পণ মেনে নেবে।
এ দিকে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর নিজের প্রথম ভাষণে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান বলেছেন, ‘সুদানে একটা বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’