চট্টগ্রাম: বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে প্রায় সবার হাতেই রয়েছে স্মার্ট ফোন। ক্লিক করলেই সারা বিশ্ব হাতের মুঠোয়। তবুও যারা নিরন্তর লিখে গেছেন কিংবা লিখছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ বা শিক্ষণীয় অন্যান্য রচনাবলী, তাদের সে সব লেখা অনলাইনে দুষ্প্রাপ্যও বটে। তাছাড়া বইয়ের মলাটের সুগন্ধও পাওয়া সম্ভব নয়। মূলত সেলুনে আসা গ্রাহকদের দীর্ঘ সিরিয়ালের ফাঁকে সময় কাটাতে আকর্ষণীয় বা শিক্ষণীয় বই নজরে পড়লে পড়ার ইচ্ছে জাগ্রত হবে। বই পড়ে জ্ঞানের পরিধি বাড়বে গ্রাহকদের। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটির আকবর শাহ এলাকার নয়ন হেয়ার কাটিং সেলুনে বুক ও সেলফ বিতরণ করা হয়েছে। ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র সৌজন্যে সেলুনের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমের হাতে বুক ও সেলফ তুলে দেন ডিস্ট্রিক্ট ট্রেন কন্ট্রোলার শাহেদ হোসাইন খোকন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রাফিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. শাহীদ হোসেন (খোকন), ট্রেন কন্ট্রোলারস এসোসিয়েশনের সভাপতি জাফর উল্যাহ মজুমদার, স্টেশন মাস্টার কর্মচারী ইউনিয়নের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির নয়ন, সাংবাদিক সাগর, নাট্যকর্মী জসিম উদ্দিন, আকবরশাহ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সেলুনে পাঠাগার স্থাপন একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে শাহেদ হোসাইন খোকন বলেন, ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ সময়োপযোগী একটি কার্যক্রম। এমন উদ্যোগের ফলে বই পড়ায় পাঠক তৈরি হবে; যা আলোকিত মানুষ গড়ার নেপথ্যে কাজ করবে। সকলের উচিত, অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়ানো। এতে মানুষের সুকুমার বৃত্তি বিকশিত হবে।’
উল্লেখ্য, অবসরে বই পড়ুন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের উদ্যোগে নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই ও আলমারি বিতরণের মাধ্যমে এ ব্যতিক্রমী কার্যক্রম শুরু হয়।