শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ছয় দফার ভূমিকা

শুক্রবার, জুন ৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
মো. গনি মিয়া বাবুল

মো. গনি মিয়া বাবুল: স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ছয় দফার ভূমিকা অপরিসীম। ১৯৬৬ সালে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সম্মিলিত বিরোধী দলগুলোর এক কনভেনশনে অংশ নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার জনগণকে বৈষম্যের হাত থেকে রক্ষা ও বাঙালিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। কিন্তু, কনভেনশনের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ আলী ছয় দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করার অসম্মতি জানান। শুধু তাই নয়, বরং পরের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বহু পত্রিকায় শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবে আখ্যায়িত করে খবর পরিবেশন করেন। এ ঘটনায় বিষ্মিত ও মর্মাহত হন বঙ্গবন্ধু। তিনি কনভেশন বয়কট করেন ও ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে এসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভা আহ্বান করেন। ঐ সভায় সর্বস্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধু পেশকৃত ছয় দফা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয় ও দলীয় কর্মসূচী হিসেবে ৬ দফাকে গ্রহণ করা হয়।

ছয় দফা প্রচার ও প্রকাশের জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছয় জনবিশিষ্ট উপকমিটি গঠন করা হয়। ১৯৬৬ সালের ১৮-২০ মার্চ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ কাউন্সিলে এক হাজার ৪৪৩ জন কাউন্সিলর বঙ্গবন্ধুকে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক ও মিজানুর রহমান চৌধুরীকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেন। ছয় দফা কর্মসূচিভিত্তিক আন্দোলনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর একান্ত ঘনিষ্ঠ অনুসারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ছয় দফা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘সাঁকো দিলাম, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় উন্নীত হওয়ার জন্য’। বস্তুত ছয় দফা ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্র তথা অঙ্কুর।’
ছয় দফা দাবি কালক্রমে ব্যাপক বিস্তৃত আন্দোলন ও পরবর্তী একটি সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার দিকে এগিয়ে নিয়েছিল। ছয় দফা কর্মসূচি প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে ছয় দফার ভিত্তিতে দলীয় গঠনতন্ত্র ও নেতৃত্ব নির্বাচনে যে পরিবর্তন সাধিত হয়, তা পরবর্তী ছয় দফার চূড়ান্ত পরিণতি এক দফা তথা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত বহন করে।

ছয় দফা পরিকল্পনাটি বঙ্গবন্ধুকে ও আওয়ামী লীগের বেশ কিছু সংখ্যক বাঙালি নেতা-কর্মীকে নবাবজাদা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বাধীন নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি মুখোমুখি সংঘাতমূলক পথে নিয়ে যায়। এটি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের প্রচন্ড ক্রোধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পাকিস্তানের এ স্বৈরশাসক প্রকাশ্যে ছয় দফার প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আইয়ুবশাহি ও তার সহযোগীরা মনে করতেন যে, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচি পাকিস্তানকে ভেঙে এর পূর্ব অংশকে দেশের অবশিষ্ট অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ‘৬৬ সালে যে ছয় দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছিল তা ছিল নিম্নরূপ-

শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি: দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো এমনি হতে হবে, যেখানে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ ও তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। সরকার হবে পার্লামেন্টারী ধরনের। আইন পরিষদের ক্ষমতা হবে সার্বভৌম এবং এ পরিষদও নির্বাচিত হবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারণের সরাসরি ভোটে।

কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যথা দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সব বিষয়ে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।

মুদ্রা বা অর্থ-সমন্ধীয় ক্ষমতা: মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নিলিখিত দুটির যে কোন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারে। পুরো দেশের জন্যে দুটি পৃথক অথচ অবাদে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে অথবা বর্তমান নিয়মে পুরো দেশের জন্যে কেবল মাত্র একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসু ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে, পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও পত্তন করতে হবে ও পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।

রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা: ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে, প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলির সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।

বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা: ফেডারেশনভূক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে; বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে; কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেমিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসস্মত কোন হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিই মিটাবে; অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোন রকম বাধা-নিষেধ থাকবে না এবং শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ ও স্ব-স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।

আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা: আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলিকে স্বীয় কর্তত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত এ ছয় দফাকে কেউবা বলছেন ম্যাগনাকার্টা, কেউবা আখ্যায়িত করেছেন বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে।

উল্লেখিত ছয় দফা অতি দ্রুত বাঙালিদের মুক্তির সনদ হিসেবে বাঙালি জনগণের প্রাণের দাবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

১৯৬৬ সালের মার্চ ও মে মাসে বঙ্গবন্ধু ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী ও আরো অনেকে ছয় দফার পক্ষে জনসমর্থন সৃষ্টির লক্ষ্যে পুরো পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছেন। পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী ছয় দফার পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন দেখে আইয়ুবের তোষামোদে এক অনুগত গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান আওয়ামী লীগের নেতাদের কারান্তরীণ করার হুমকি দেন। ঐ বছরের ৮ মে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনের আওতায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অধিকাংশ সহযোগীকেও কারান্তরীণ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ছয় দফার পক্ষে সমর্থন সংগঠিত করা ও বন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ‘৬৬ সালের ৭ জুন পুরো পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহ্বান করে।

তৎকালিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী এ সময় খুব দৃশ্যমান ও প্রসিদ্ধ ভূমিকা পালন করেন, মনোবল ভেঙে পড়া একটি দলকে উজ্জীবিত করে তিনি হরতালের জন্য প্রস্তুত করেন। একই সঙ্গে তিনি ও অধ্যাপক ইউসুফ আলীসহ আওয়ামী লীগের এমএনএগণ আওয়ামী লীগের ওপর সরকারি নিপীড়নের কথা আইনসভায় উত্থাপন করেন। আর এভাবে ছয় দফাকে পুরো বাঙালিদের দাবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। অন্য দিকে, পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরাচারী সরকার পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের খবর মাধ্যমগুলোর ওপর হরতালের সংবাদ না ছাপানোর আদেশ দেয়। গণমাধ্যমের ওপর সেন্সরশিপ সত্ত্বেও পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী হরতাল পালিত হয়। হরতাল পালনকারীদের ওপর পুলিশ ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের গুলিবর্ষণের ফলে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী ও দেশের অন্যান্য স্থানে আন্দোলনরত ১১জন শহীদ হন। পর দিন ৮ জুন সংবাদপত্রগুলোয় আগের দিনের ঘটনা সম্পর্কে সরকারি ভাষ্যই কেবল প্রকাশিত হয়েছিল। সরকারি ভাষ্যে রাজপথে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সহিংসতার কথাই ফুটে উঠেছিল। কিন্তু, শহীদদের রক্তে ছয় দফা আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছয় দফা অন্যতম একটি মাইলফলক। ঐতিহাসিক ৬ দফা বাঙালির মুক্তির পথ দেখিয়েছিল ও মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।

ছয় দফা আন্দোলনের পথ ধরে এরপরে আসে ‘৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ‘৭০’-এর সাধারণ নির্বাচন। ‘৭০’-এর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণ তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। নির্বাচনে ১৬৯ টি আসনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৬৭ আসনে জয় পায়। কিন্তু, তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানা ধরনের ছলছাতুরী ও তালবাহানা শুরু করে। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদের অধিবেশন ১ মার্চ স্থগিত করার ঘোষণা করা হয়। ফলে, বাঙালিরা ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পরেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশ স্বাধীন ও মুক্তির আন্দোলনে উত্তাল হতে শুরু করে। মার্চের প্রথম দিকে জয়দেবপুর ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় মুক্তির সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে বীর জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়। এ সশস্ত্র প্রতিরোধে পাকিস্তান সৈনিকদের গুলিতে মনু খলিফা, হুরমত, নিয়ামত ও কানু মিয়া মারা যান। মুক্তিযুদ্ধে এটাই ছিল বাঙালি জনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। ওই দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার জাহানজেব দ্বিতীয় ইস্ট রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকদের নিরস্ত্র করতে গাজীপুরে আসছে, এ কথা শুনে গাজীপুরের জনগণ সড়কে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে। এ সময় জাহানজেব ঢাকা ফেরার পথে গাজীপুরের বিক্ষুপ্ত জনগণের বাধার সম্মুখীন হন। ফলে, গাজীপুরের বীর জনতা ও পাকিস্তানি সৈনিদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এ খবর দ্রুত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে ও সারা বাংলায় শ্লোগান উঠে ‘জয়দেবপুরের পথ ধর- বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। যা মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গুলিবর্ষণ করে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে। শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অর্জন।

লেখক পরিচিতি: শিক্ষক, গবেষক, কলাম লেখক ও সংগঠক
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি
পুরানা পল্টন, ঢাকা।