বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

স্যামসাং আনল ২০০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর-আইএসওসিইএলএল এইচপি২

বুধবার, জানুয়ারী ২৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ভবিষ্যতের প্রিমিয়াম স্মার্টফোনে দুর্দান্ত ছবি তোলা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি স্যামসাং প্রথম বারের এনেছে সর্বাধুনিক পিক্সেল প্রযুক্তি-সম্পন্ন ২০০ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সর – আইএসওসিইএলএল এইচপি২। ফ্ল্যাগশিপ মডেলের স্মার্টফোনে দুর্দান্ত হাই-রেজুলেশন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে যে কোন আলোয় একদম নিখুঁত ও ঝকঝকে ইমেজ আউটপুট দিবে স্যামসাংয়ের নতুন এ ইমেজ সেন্সর।

সর্বাধুনিক আইএসওসিইএলএল এইচপি২ ইমেজ সেন্সরে রয়েছে ১/১.৩ ইঞ্চি অপটিক্যাল ফরম্যাটে ২০০-মিলিয়ন ০.৬ মাইক্রোমিটার পিক্সেল; এ আকারের অপটিক্যাল ফরম্যাটের সেন্সর ১০৮ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরার স্মার্টফোনে বহুল ব্যবহৃত। বড় ক্যামেরা ব্যবহার ছাড়াই, নতুন এ ইমেজ সেন্সরের ফলে ব্যবহারকারীরা সর্বাধুনিক হাই-এন্ডের স্মার্টফোনে হাই-রেজুলেশনের ছবি উপভোগ করতে পারবেন।

স্যামসাংয়ের সর্বাধুনিক পিক্সেল-বাইনিং টেকনোলোজি, টেট্রা২পিক্সেলের মাধ্যমে ক্যামেরায় আরো অনেক বিশেষত্ব যোগ করেছে এইচপি২; এর মধ্যে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আলোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন আকারের পিক্সেল ব্যবহার করার সক্ষমতা। কম আলোর পরিবেশে ছবি তোলার ক্ষেত্রে সেন্সরটি পার্শ্ববর্তী চার থেকে ১৬টি পিক্সেল সাথে নিয়ে ১.২ মাইক্রোমিটার ৫০ মেগাপিক্সেল বা ২.৪ মাইক্রোমিটার ১২.৫ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সরে রূপান্তরিত হবে। প্রায় ৩৩ মেগাপিক্সেলের ফুলার ৮কে ভিডিওর ক্ষেত্রে ১.২ মাইক্রোমিটার ৫০ মেগাপিক্সেল মোডে পরিবর্তিত হবে এইচপি২, যেন ক্রপিং কমিয়ে আনার পাশাপাশি সিনের বেশিরভাগ অংশ ধারণ করা যায়। ৩০ ফ্রেমস-পার সেকেন্ডে (এফপিএস) ৮কে’তে চিত্রগ্রহণ করার মাধ্যমে বিস্তৃত পরিসরের ভিউ ও সুবিশাল আকারের পিক্সেল, নিখুঁত সিনেমাটিক ভিডিও নিশ্চিত করবে।

পাশাপাশি, স্যামসাংয়ের নতুন ডুয়েল ভার্টিকাল ট্রান্সফার গেইট (ডি-ভিটিজি) টেকনোলোজির মাধ্যমে উজ্জ্বল আলোতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে আলো কমিয়ে এনে ছবি জ্বলে যাওয়া অনেকাংশে কমিয়ে আনবে এইচপি২। পিক্সেল থেকে লজিক লেয়ারে ইলেকট্রন পরিবহণের জন্য প্রতিটি পিক্সেলের ফটোডায়োডের নিচে স্থাপন করা হয়েছে ভোল্টেজ ট্রান্সফার গেইট। পিক্সেলের সক্ষমতা ৩৩ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করার জন্য পিক্সেলের মধ্যে নিখুঁতভাবে দ্বিতীয় আরেকটি ট্রান্সফার গেইট যোগ করে ডি-ভিটিজি। বিশেষ করে, জ্বলজ্বলে আলোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি ইলেকট্রন সঞ্চিত রেখে ও দক্ষ সিগন্যাল ট্রান্সফারের মাধ্যমে এ পদ্ধতি ওভারএক্সপোজার কমিয়ে আনে ও ছবির রঙ নিখুঁতভাবে প্রতিস্থাপন করে।