চট্টগ্রাম: প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেনসহ ১১৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এজাহারে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন মোহাম্মদ ফরহাদ নামের যুবক।
মোহাম্মদ ফরহাদ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের মৌলভীবাজার এলাকার মো. হেলালের ছেলে। তিনি বর্তমানে সিটির চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দা।
মামলার উল্লেখযোগ্য বাকি আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মো. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রাক্তন আবদুস ছালাম, চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রাক্তন সাংসদ এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম-৬ আসনের প্রাক্তন সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, যুবলীগের নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গেল ৪ আগস্ট সিটির চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে ১০০-১৫০ জন সন্ত্রাসী দেশি অস্ত্র, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠিসোঁটাসহ ঘটনাস্থলে ত্রাস চালায়। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় প্রতিশোধ নিতে আসামিরা ওই দিন ছাত্র-জনতার মিছিলে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি, হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রাণ বাঁচানোর জন্য তিনি বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের দিকে দৌঁড়ালে আসামিদের অবৈধ অস্ত্রের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।’
মামলার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আরফান উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘মামলার আবেদনে ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলার আবেদনটি তদন্তপূর্বক চান্দগাঁও থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।’