সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

হামলা, মামলা, নির্যাতন ও ভয়ের রাজনীতি ছড়িয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে

শুক্রবার, আগস্ট ১১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, নিত্য পণ্যের দাম কমানো, দূর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবিতে সমাবেশে করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলা। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকালে সিটির সিনেমা প্যালেস চত্ত্বরে এ সমাবেশ হয়।

সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি কমরেড অশোক সাহার সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির সদস্য মৃণাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী, সিপিবি কোতোয়ালি থানার সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, রেখা চৌধুরী, জামাল উদ্দিন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের অস্থিরতা ভর করেছে। বাড়ছে অস্থিতিশীলতা, সংঘাত-সহিংসতা। অর্থনীতি এখনো নিয়ন্ত্রণহীন। মানুষের মাঝে উদ্বগ-উৎকণ্ঠা। হামলা, মামলা ও নির্যাতন ও ভয়ের রাজনীতি ছড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। মিছিল-মিটিং ও বাক স্বাধীনতার অধিকার নাই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই। বর্তমান সরকার আমাদের ভাতের অধিকারই কেড়ে নেয়নি, ভোটের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্র ও প্রতিনিধিত্বশীল শাসনের দীর্ঘ অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ, সার্বভৌমত্বের ওপর আগ্রাসী হওয়ার ক্ষেত্রে বিবদমান সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো ও আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলো চরম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ এখন আমাদের দেশে নাই। বর্তমান সংসদ না ভেঙ্গে নির্বাচন করলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। চলমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিসহ নির্বাচন করতে হবে। দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

পাচারের টাকা ফেরত এবং সাম্রজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী, বিদেশি শক্তির অপতৎপরতা রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির চট্টগ্রাম জেলার নেতারা।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, ‘পুরো দেশে বাজারে আগুন জ্বলছে। দেশের বিপুল অংশের শ্রমজীবী মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। গোটা বাজার আজ গুটিকয়েক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। তাই, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। মজুতদার, মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষকে বাঁচাতে পুরো দেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।’

সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘এই সঙ্কটময় সময়ে কমিউনিস্ট পার্টিকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, নিত্য পণ্যের দাম কমানো, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, পাচারের টাকা ফেরত আনা এবং সাম্রজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী, বিদেশি শক্তির অপতৎপরতা রুখে দাড়ানোর বিরুদ্ধে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তুুুুলতে হবে।’