ইয়েমেন: ইয়েমেনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবারের (১৭ জানুয়ারি) এ হামলা নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থ দফায় ইয়েমেনে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। অন্য দিকে, একইদিনে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন একটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে হুতি বিদ্রোহীরা। খবর রয়টার্সের।
গেল ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এ হামলার পর নভেম্বর থেকে হামাসকে সমর্থন জানিয়ে লোহিত সাগরে ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। পণ্যবাহী জাহাজে হুতিদের একের পর এক হামলার উত্তরে ইয়েমেনে পাল্টা হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে চতুর্থ দফায় হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনে হুতিদের ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। হুতিরা এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত রেখেছিল।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ওই অঞ্চলে চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজ ও যুক্তরাষ্ট্রের নেভি জাহাজের জন্য হুমকি।
সেন্ট্রাল কমান্ড আরো জানিয়েছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোঁড়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। যে কোন সময়ই তারা (হুতি) এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাতো। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী শুধুমাত্র নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার চর্চা করেছে।
অন্য দিকে, হুতিরা দাবি করেছে, তারা বুধবার (১৭ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাজ্যের ম্যারিটাইম ট্রেড অপারেশন সিকিউরিটি এজেন্সি বলেছে, ‘এডেন উপসাগরে একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা।’
হুতির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া শারি জানিয়েছেন, তাদের নৌবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। জাহাজটির নাম ‘গেনকো পিকার্ডি’।
এ দিকে, এদিনই হুতিদের ফের ‘বিশেষভাবে চিহ্নিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।