শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

হেনরি কিসিঞ্জারকে ‘সবচেয়ে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী’ বলল যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম

শুক্রবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
হেনরি কিসিঞ্জার

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দেশটির কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। তিনি এক দিকে শান্তিতে নোবেল জয়ী, অন্য দিকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবেও আখ্যায়িত। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মৃত্যুর খবরের শিরোনাম ‘হেনরি কিসিঞ্জার, আমেরিকার সবচেয়ে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী, ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন’ করেছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম হাফপোস্ট।

পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির একসময়কার প্রতাপশালী ব্যক্তি কিসিঞ্জারের ভূমিকা ছিল। কিন্তু, তিনি তার সিদ্ধান্তের জন্য কখনো অনুশোচনা প্রকাশ করেননি।

হেনরি কিসিঞ্জারের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর সাথে ভিয়েতনাম জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। ভিয়েতনামের যুদ্ধে দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষে যুদ্ধে নেমেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ভিয়েতনাম প্রসঙ্গে হেনরি কিসিঞ্জারকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়েছেন অনেক সমালোচক। কারণ, কিসিঞ্জার সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধ সংঘটনে যুক্তরাষ্ট্রকে পরিচালিত করেছিলেন। আর তা হল কম্বোডিয়ায় চার বছর ধরে গোপন বোমা হামলা। এ হামলায় অগণিত বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছিলেন।

কিসিঞ্জার ১৯২৩ সালের ২৭ মে জার্মানির একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম নেন। তার পরিবার নাৎসি শাসন আমলে জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আসেন। এখানেই তার বেড়ে উঠা। এরপর ১৯৪৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন। আর যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে ও পরে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কর্পসে তিন বছর চাকরি করেন।

স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর, তিনি হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যাপনা করেন।

১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিযুক্ত করেছিলেন। নিক্সনের অধীনে সেক্রেটারি অব স্টেট তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তৎকালীন বহু যুগ-পরিবর্তনকারী বৈশ্বিক ইভেন্টে তার হাত ছিল।

১৯৭৪ সালে নিক্সনের পদত্যাগের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান স্থপতি হিসেবে কিসিঞ্জারের রাজত্ব অনেকটা ক্ষয় হয়ে যায়। তারপরও প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের অধীনে তিনি কূটনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন ও তার বাকি জীবন কূটনীতি-সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে তিনি দৃঢ় মতামত প্রদান অব্যাহত রেখেছিলেন।