মিশিগান: যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের হ্যামট্রাম্যাক সিটির নির্বাচন নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠেছে বৃহত্তর ডেট্রয়েটে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটি। হ্যামট্রাম্যাক সিটির মেয়র পদে এবং তিনটি কাউন্সিলম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিটি প্রাইমারি নির্বাচন হবে আগামী ৫ আগস্ট এবং সিটি জেনারেল নির্বাচন হবে ৪ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার এডাম আল হারবি। হ্যামট্রাম্যাক সিটির বর্তমান মেয়র আমীর গালীব আর মেয়র পদে থাকছেন না। কারণ মার্কিন সিনেট তাকে কুয়েতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ করবে বলে জানা গেছে। আমীর গালীব তার ফেসবুক পেজে সকলকে অনুরোধ করেছেন তার বন্ধু, সহপার্টি, তার প্রচার ব্যবস্থাপক এডাম আল হারবিকে হ্যামট্রাম্যাক সিটির পরবর্তী মেয়র হিসাবে ভোট দেয়ার জন্য।
এদিকে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন খলিল রেফাই। তিনি তার ফেসবুক পেজে লেখেন, শহর ও জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতের উন্নতিকল্পে একে অপরকে সমর্থন করা দরকার। তিনি এডাম আল হারবিকে সমর্থন করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন বলে জানান।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, মেয়র পদে বাঙালি বংশোদ্ভূত চারজন তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তারা হচ্ছেন মুহিত মাহমুদ, খন্দকার শওকত হোসেন, মাহবুব করিম ও মিস্টার বাংলাদেশ।
৩টি কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আবু মুসা (বর্তমান সদস্য), প্রাক্তন কাউন্সিল সদস্য নাঈম চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী, আরিফ আরমান জিসান, মাহফুজুর রহমান, জো স্ট্রজালকা, রাস গর্ডন, ডায়ান এলিজাবেথ ফ্রাকান, খালিদ আল কাসাইমি, মোতাহার আবদো ফাদেল, ইউসুফ সাঈদ, মোহাম্মদ আইমন ইসলাম, আব্দুলমালিক ইয়াহিয়া কাসিম, লুকমান মোহাম্মদ সালেহ, নাজিব মুথানা।
উল্লেখ্য, যারা মনোনয়ন দাখিল করেছেন, তাদের মধ্যে আগামী ৫ আগস্টের প্রাইমারি নির্বাচনে দুইজন মেয়র প্রার্থী এবং ছয়জন কাউন্সিলর প্রার্থী পদে নির্বাচিত হয়ে ৪ নভেম্বরের অনুষ্ঠিতব্য সিটি জেনারেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। ৪ নভেম্বরের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে একজন মেয়র এবং তিনজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন।
সব প্রার্থীর ব্যাকগ্রাউন্ড, বসবাসের ঠিকানা, শহরের বাসিন্দা কিনা, কোন সংস্থা বা সরকারের কাছে কোন ঋণ আছে কিনা এসব বিষয় দেখা হবে।
এ নির্বাচন এখন মিশিগান প্রবাসী বাঙালির প্রধান আলোচ্য বিষয়। দোকান, রেস্টুরেন্ট, উপাসনালয়, ফ্যাক্টরি, ঘরোয়া পার্টিসহ সর্বত্রই নির্বাচনের আলাপ। আসলে বাংলাদেশের বাঙালিদের নির্বাচন হচ্ছে একটা প্রধান উৎসব। এ উৎসবে ধর্ম, বর্ণ, পেশা, শ্রেণী নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে আনন্দ করে। বিদেশের মাটিতেও তার অন্যথা হয় না।