মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

৪১৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে বিমানের প্রথম ফ্লাইট

রবিবার, মে ২১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩০০১ মোট ৪১৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে। রোববার (২১ মে) ভোরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল সাতটা ২০ মিনিটে জেদ্দায় পৌঁছাবে। এছাড়াও, বিমানের আরো চারটি ফ্লাইট রোববার দিনের বিভিন্ন সময়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে হজ যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবে।

হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ হাবিব হাসান, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে হজযাত্রীদের বিদায় জানান। এ সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী হজযাত্রীদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুখ, শান্তি,সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকার জন্য দোয়া চান।

এর আগে হজ ফ্লাইট এর উদ্বোধন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছরের মত এবারো হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সুষ্ঠু হজ পরিবহন কার্যক্রম চালানোর সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লিট আধুনিকায়নের ফলে সক্ষমতা বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে বিমান তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে হজ পরিবহন কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ বছরো হজ যাত্রী পরিবহনে বিমান তাদের চারটি অত্যাধুনিক ও সুপরিসর বোয়িং-৭৭৭ ইআর এবং একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারসহ মোট পাঁচটি উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণেই ২০১৯ সাল থেকে ‘রোড টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ’ এর আওতায় হজ যাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সৌদি আরবে পৌঁছার পর তাদের লাগেজও নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এতে হজ যাত্রীদের পরিশ্রম, সময় ও কষ্ট লাঘব হয়েছে। হজ যাত্রা হয়েছে সহজ ও আরামদায়ক। প্রধানমন্ত্রীর এ সফল ও জনবান্ধব কূটনৈতিক উদ্যোগের সম্পূর্ণ সুবিধা যাতে হজ যাত্রীরা পান, সেই বিষয়ে আমরা সব সময় সচেষ্ট থেকেছি ও ভবিষ্যতেও থাকব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সাল হতে হজের টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু ও মনিটরিং বৃদ্ধির কারণে কোন হজযাত্রীকেই এরপর থেকে এয়ারলাইন্সের টিকেট নিয়ে কোন প্রকার হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়নি। ইনশাআল্লাহ, এবারো তারা টিকিট নিয়ে কোন প্রকার সমস্যায় পড়বেন না। হজ পরিবহনের সব বিষয় আমরা সার্বক্ষণিক ও নিবিড় মনিটরিং করছি। সুষ্ঠুভাবে হজ পরিবহন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য হজ যাত্রীরা ও সব অংশীজনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে মোট যাত্রীর অর্ধেক ৬১ হাজার ১১১ জন হজ যাত্রী পরিবহন করবে বিমান। বাকী হজযাত্রী পরিবহন করবে সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস। বিমান প্রি-হজে ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ১৬২টি ও পোস্ট-হজে ২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১৬৮টি করে মোট ৩৩০টি হজ ফ্লাইট চালাবে। বিমান গেল বছরের মত এবারো ঢাকা থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকেও জেদ্দায় ও মদিনায় ফ্লাইট চালাবে।

উল্লেখ, শুক্রবার (১৯ মে) হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।