সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

৫২তম বিজয় দিবস: স্মার্ট বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

বুধবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২

প্রিন্ট করুন

মো: গনি মিয়া বাবুল: বুধবার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অর্জন। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাঙালি জাতি বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী হিসেবে দিবসটি নানা আয়োজনে পালন করেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ঝাঁপিয়ে পড়া, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা ও বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাঙালির সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্খিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৬ মার্চ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে অবিরাম কাজ করছেন শেখ হাসিনা।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী ইশতেহার ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ইশতেহারে বলা হয়, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আধুনিক ও উন্নত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসাবে গড়ে তোলা হবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশ পরিচালনা দায়িত্বে এসে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনে সরকার ব্যাপকভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করে। এমনকি বেসরকাররি পর্যায়েও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। তিন মেয়াদে ১৪ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকার সফল হয়েছে। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সাড়ে বারশো ধরনের সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টানেট ব্যবহারকারী ছিলেন মাত্র ৮ লাখ, যা গত অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখেরও বেশী। ২০০৮ সালে জানুয়ারিতে যেখানে মোবাইল ব্যবহাকারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৬৫ লাখ, সেখানে গত অক্টোবরে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ১৬ লাখ। ২০০৮ সালে দেশে ৪-জি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল শূণ্য, বর্তমানে দেশে ৯৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহকারী ৪-জি প্রযুক্তির আওতায় এসেছে। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক ৫-জি চালুর মধ্য দিয়ে আমরা আরো গতিশীল যুগে প্রবেশ করেছি। আজ বাংলাদেশ ৫৭তম স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য, পারমাণবিক ক্লাবেরও সদস্য।

দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে অপটিক্যাল ফাইবার। বিগত ১৪ বছরে দেশে গড়ে উঠেছে ৪৬টি হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবিশন সেন্টার। ২০০৮ সালে দেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছিল শূণ্য, সেই সংখ্যা বর্তমানে ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। বছরে তথ্য প্রযুক্তি খাতে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ডাটা সেন্টারের দেশ। আমরা আজ সুবিশাল ওয়েব পোর্টালের মালিক যেখানে যুক্ত আছে ৫০ হাজারেরও বেশী অফিস। ২০০৮ সালে যা ছিল শূন্যের কোটায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ক্লাসরুম, ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব কনটেন্ট ডিজিটাল করা, সরকারের অভ্যন্তরে সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপান্তর করা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফলপ্রাপ্তি, চাকরির আবেদনসহ সরকারি প্রায় সব ধরনের সেবা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। করোনা মহামারি সময়ে মানুষ ঘরে বসেই জরুরি খাদ্য সহায়তা, করোনাবিষয়ক তথ্য সেবা ও টেলিমেডিসিন সেবা পেয়েছেন। ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য হওয়ায় দেশে মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ই-কমার্স খাতেও দ্রুত জনপ্রিয়তা বেড়েছে এবং দ্রুত গতিতে এ খাতের প্রসার হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই মানুষ বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির বিল পরিশোধ করতে পারছে। করোনা মহামারির সময় দেশের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারের উপকারিতা পেয়েছে। ই-পর্চা, ই- মিউটেশন, ই-পাসপোর্ট, ই-চালান, ই-টেন্ডার, ইএফটি, ই-নথি, অনলাইনে পেনশনভাতাসহ নানা সেবার কারণে মানুষের জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এতে কাজের গতি ও স্বচ্ছতা বেড়েছে। করোনার সময় ভার্চুয়াল আদালত চালু করে বিচারিক কার্যক্রম সচল রাখা হয়েছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে যে সব কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে, সেগুলো টেকসই ও সুসংহত করতে সদা সচেষ্ট থাকতে হবে।

১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে রূপান্তর করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলব আর সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা চলে যাব।’

সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, সেটি হচ্ছে ‘স্মাট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গর্ভমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি- এ চারটি মূল ভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা অবশ্যই আধুনিক, উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।

১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় থেকে আজ পর্যন্ত শত বাধা-বিপত্তি ও হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা জনগণের ভাত-ভোট ও সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল: ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ ও খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন। এছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি ও ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে একাধারে প্রায় ১৪ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, ৮ দশমিক ২০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৮ কোটি মানুষকে নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, ভারত ও মায়ানমারের সাথে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, ভারতের সাথে স্থলসীমা (ছিটমহল) সমস্যা সমাধান, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ৩৮.৪ থেকে ২১.৩ শতাংশে হ্রাস, পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফুলী টার্নেল, ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেস, ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প, প্রায় সবদ মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীতকরণ, রেলপথে ব্যাপক উন্নয়ন, আকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপন, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার, পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার, জঙ্গী দমন ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, গত ১৪ বছরে পর্যায়ক্রমে সরকার এক একটি সমস্যার সমাধান করেই চলেছে। ২০০৯ সালে শুরুতেই সরকারকে বিপদে ফেলানোর জন্যে পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। সরকারের বয়স যখন মাত্র দুই মাস তখনই ঘটল পিলখানার বিডিআর হত্যাকান্ড। শেখ হাসিনার দক্ষতা, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা গতিশীল নেতৃত্বে প্রতিটি সংকটে সরকার উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও যথাযথভাবে সমস্যার সমাধান করেছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলছে। এ অভিযানেও সরকার সফল হবে বলে আমরা মনে করি। দেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা, সমঅধিকার ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শেখ হাসিনা দুর্নীতিমুক্ত নিরাপদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগকে শত ভাগ সফল করতে সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে বিশ্বনেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাকে মাদার অব হিউমিনিটি বা মানবতার মা হিসেবে উপাধি দেয়া হয়েছে। শান্তি, মানবতা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় তিনি ইতিমধ্যে ৪০টি আন্তর্জাতিক মর্যাদা সম্পন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনা দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করছেন।

আমরা যার যার অবস্থান থেকে স্বীয় সামর্থ অনুযায়ী শেখ হাসিনার এসব ভাল কাজে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করব। পাশাপাশি আমরা হৃদয়ে-অন্তরে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শকে ধারণ করব। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করতে সফলতার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এ উন্নয়ন-অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সব নাগরিককে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সরকার যথেষ্ট সফল। তবে গাফটি মেরে বসে থাকা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা যেন ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেই দিকে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। সেই সাথে ব্যাংকিং খাতসহ সব ক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন সুনিশ্চিত করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলকে সততা ও দেশপ্রেমের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সব মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যগুলো জাগ্রত করতে হবে। উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এখন বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৪১ সালে মধ্যে বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে উন্নত দেশের তালিকায়। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ হবে আধুনিক উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নিশ্চয়ই প্রতিষ্ঠিত হবে। এবারের ৫২তম বিজয় দিবসে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।