মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

অন্তর্বর্তী সরকার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না, আশা গয়েশ্বরের চন্দ্র রায়ের

রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগরে জিয়া মঞ্চের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোন রাজনৈতিক দলের সরকার নয় মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এ সরকার আন্দোলনের ফসল। যারা আজকে সরকারে আছেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ সকলে অরাজনৈতিক। আমরা বিশ্বাস করি, তারা রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে গণতন্ত্রের চলার পথকে সুগম করবে। যথা দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রের সূচনার জন্য একটা নির্বাচন দেবে। সেই নির্বাচনে সব মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নয়া পথচলা শুরু হবে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উপলব্ধি করতে পারবে যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন প্রবাসে থেকে তারেক রহমান দিন-রাত প্ররিশ্রম করে জাতিকে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আজকে বিএনপির সীমানা অতিক্রম করে জাতির নেতা হতে সক্ষম হয়েছেন। এ জাতির নেতার বিরুদ্ধে যেসব অন্যায়ভাবে মামলা ও সাজা দেয়া হয়েছে, সেসব মামলা প্রত্যাহার করবে। সেটা না করা হলে তা হবে জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।’

এ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর আরা বলেন, ‘আশা করি, সকলের আন্দোলন ও সংগ্রামকে আমলে নিয়ে এ সরকার আমাদেরকে এসব মামলার হাজিরা থেকে রেহাই দেবে। যদি এসব মামলায় এখন আমাদেরকে হাজিরা দিতে হয়, তা হবে দুঃখজনক।’

হিন্দুদের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে চলমান বিভিন্ন ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে কিছু ঘটনাও আছে। আবার কিছু গুজবও আছে। ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তিরা বসে নেই। তারা একটা নাশকতা করার চেষ্টা করবে। তবে, বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দেবে। সেখানে বিএনপির কেউ ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘দেশে এখন নির্বাচন হয়নি, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেখানে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান করব, একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।