ঢাকা: বুধবার (১ মে) যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, নওগা, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, পুরো দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বন্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
বুধবার (১ মে) সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গা হতে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। এ সময়ে দিনের তাপমাত্রা এক-দুই ডিগ্রি কমতে পারে।’
সিনপটিক অবস্থা: লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার (১ মে) সর্বনিম্ন দিনাজপুরে ২২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৯ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার (১ মে) সকাল ছয়টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।
ঢাকায় বুধবার (১ মে) সূর্যান্ত সন্ধ্যা ছয়টা ২৭ মিনিটে ও বৃহস্পতিবা (২ মে) সূর্যোদয় ভোর পাঁচটা ২৪ মিনিটে।