চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ১৩ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আটজন সরাসরি হত্যায় জড়িত। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে রাজীব ভট্টাচার্য নামে একজনকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হত্যার সময় পুলিশের প্রাপ্ত একটি ভিডিও ফুটেজে তার উপস্থিতি ধরা পড়ে। রাজীব ভট্টাচার্য ফটিকছড়ির উত্তর সারতা আব্দুল্লাহপুরের সুনীল ভট্টাচার্যের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত অন্যান্যরা হলেন রুমিত দাস, সুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস ও সোনু মেথর। ঘটনায় জড়িত হিসেবে শনাক্ত অন্যরা হলেন বিকাশ দাস (১), অর্জুন দাস, বিকাশ দাস (২), শুভ কান্তি দাস (বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র), কৃষ্ণ দাস (সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের কর্মচারী) ও বুঞ্জা মেথর।
আদালত চত্বরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন জয় নাথ (১৯), রুমিত দাস (৩২), নয়ন দাস (২৮), সুমিত দাস (২০), বিশাল দাস (২৬), সুমন দাস (২২), সাজু বৈদ্য (৩৯) ও অজয় সূত্রধর চৌধুরী (২৮)।
পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা বিকাশ দাস (৩৫) ও বুঞ্জা মেথরকে হত্যার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সিলভার হেলমেট, কমলা টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এক যুবক তার হাতে রামদা এবং আরেক যুবক লাল হেলমেট, নীল টি-শার্ট ও জিন্স পরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে আলিফকে মারধর করছে।
পুলিশ জানায়, সেই ভিডিও এর প্রথম ব্যক্তি বিকাশ দাস, দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন বুঞ্জা মেথর। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুভ কান্তি দাসকে বহিষ্কার করেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের কাজ চলছে।’
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বহিষ্কৃত ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুলকে কুপিয়ে খুন করা হয়।