সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

আওয়ামী সিন্ডিকেট কবলিত বাজারদরের এখন ভয়াবহ অবস্থা

বুধবার, জানুয়ারী ২৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষ আওয়ামী সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তাই, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেদের নৌকা নিজেরাই উঠিয়ে নিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে, মানুষ এবার নৌকাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই, তারা দেশের জনগণকে উপেক্ষা করে যে কোন উপায়ে বিদেশি রাষ্ট্রের সমর্থন জোগাড় করতে ব্যস্ত। দেশে দেশে ধরনা দিয়ে কাকুতি মিনতি করছে। ডামি ভোটের নকল সরকার হীনম্মন্যতায় ভুগছে। প্রতারণার ডামি নির্বাচনে ভোট বর্জন করায় জনগণকে শায়েস্তা করছে সরকার।’

বুধবার (২৪ জানুয়ারী) বিকালে সিটির কাজীল দেউড়ির নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি ও অবৈধ সংসদ বাতিলের এক দফা দাবিতে আগামী শনিবার (২৭ জানুয়ারী) কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল তিনটায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের উপস্থিতিতে কাজীর দেউরী থেকে শুরু হওয়া মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল সফল করার আহবান জানান শাহাদাত হোসেন।

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী সিন্ডিকেট কবলিত বাজারদরের এখন ভয়াবহ অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। ধার দেনায়ও সংসার চালাতে পারছে না। ৭ জানুয়ারির পর থেকে মানুষে যেটিতে খেয়ে পড়ে বাঁচবে, সেই জায়গাগুলোকে লক্ষ্য করে তারা সেটার মূল্য বাড়িয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বাড়ানো হয়েছে। সিন্ডিকেটের লোকেরা ভোট ডাকাতির নির্বাচনে সহযোগিতা করে এখন ফায়দা নিতেই চালের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। কারণ, ডামি সংসদের প্রায় সকলেই ব্যবসায়ী। সরকারের টপ টু বটম সিন্ডিকেট করে দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন বিএনপির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এসএম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এসএম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, গিসাস উদ্দিন ভূইয়া, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা আবদুল বাতেন, একেএম পেয়ারু, মো. ইদ্রিস আলী, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, আবদুল আজিজ, জাসাসের সদস্য আমিনুল ইসলাম, মহিলাদলের জেসমিনা খানম, মহানগর জাসাসের আহবায়ক এমএ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, বিএনপির নেতা মো. মহসিন, রমজু মিয়া, মো. আলমগীর, জাকির হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খান, এসএম মফিজ উল্লাহ, মো. ইলিয়াছ, কাজী শামসুল আলম, মো. ইলিয়াছ, খন্দকার নুরুল ইসলাম, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এমএ হালিম বাবলু, এমরান উদ্দীন, সাদেকুর রহমান রিপন, আবু ফয়েজ, জসিম মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, মো. আলাউদ্দীন, মো. সালাউদ্দীন, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন, যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, জিএম সালাহউদ্দিন কাদের আসাদ, আরিফুর রহমান মিঠু, শহিদুল ইসলাম সুমন, এমএ হাসান বাপ্পা।