ঢাকা: আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ১১ জেলায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা প্রায় এক দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালী জেলায়। আর সরকারি খাতের চেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বেসরকারি খাতে।
রোববার (৬ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কার্যালয়ে ‘পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া: সিপিডির বিশ্লেষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা ফেলো মুনতাসির কামাল। উপস্থাপনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
মূল প্রবন্ধে সিপিডি জানায়, সাম্প্রতিক বন্যায় বেসরকারি বা ব্যক্তিখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। যা এ বন্যায় মোট ক্ষতির ৫৩ শতাংশ। আর্থিক হিসাবে যা ৬৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান। বন্যায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্ষতির পরিমাণ ৫২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালীতে ২৯ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, কুমিল্লায় ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, ফেনীতে ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ও চট্টগ্রামে ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
সিপিডি বলছে, ‘নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ফেনীতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্ষতি হয়েছে।’
গবেষণায় দেখা গেছে, এ ক্ষতির পরিমাণ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটের এক দশমিক ৮১ শতাংশ। জিডিপির নিরিখে, এটি ২০২৩-২৪ অর্থব ছরের খসড়া জিডিপির শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ ও ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য অনুমিত জিডিপির শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ।
২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হওয়া এ বন্যা ক্রমাগত ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানির প্রবাহে হয়েছিল। বন্যায় দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে সিপিডি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল। এ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি থাকা দরকার ছিল কি না তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কোন ব্যক্তি একাধিক বার ত্রাণ পেয়েছেন, আবার অনেকেই পাননি।’