শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

শিরোনাম

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘এলাইজা’

শনিবার, মে ২৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

বিনোদন প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সভিত্তিক বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজীদ সিজনের নতুন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘এলাইজা’ সম্প্রতি ১৭তম কিউনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ট স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে। পুরস্কারটি নিউইয়র্ক এলজিবিটিকিউ কনসোর্টিয়াম ও সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের পৃষ্ঠপোষকতায় ফেস্টিভ্যালের মূল পুরস্কারের অংশ হিসেবে দেওয়া হয়।

‘এলাইজা’ গত জানুয়ারিতে চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায়। এরইমধ্যে এ ছবিটি একাধিক পুরস্কার জিতেছে। এটি ২৫তম কোনি আইল‍্যান্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ট স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ম‍্যাসাচুসেটস ইন্ডিপেন্ডেন্ট চলচ্চিত্র উৎসবে আউটস্ট‍্যান্ডিং এচিভম‍্যান্ট এবং দর্শকভোটে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে ফিনিক্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে।

এশিয়ান আমেরিকান হেরিটেজ মান্থের অংশ হিসেবে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি এই গত মে মাসে আমেরিকা ও কানাডার বেশ কয়েকটি এশিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে।

চলচ্চিত্রটি নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী এক অভিবাসী ও তার পরিবারের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়। হায়দার নামের এক প্রবাসী যে হলুদ টেক্সি ক্যাবের মেডালিয়ন বিপর্যয়ের কবলে পরে নিঃস্ব হয়। সে উপলব্ধি করে এই আমেরিকান ড্রিমের পেছনে ছুটতে গিয়ে বরং পুঁজিবাদী সিস্টেমে তাকে প্রতারিত করে। এমন সংকটের সময় সে নিজের পরিবারেই এমন এক কঠোর পরীক্ষার সম্মুখীন হয় যা, সে জীবনে কখনো চিন্তাও করে নি। তার একমাত্র মেয়ে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে বেরিয়ে আসে। হায়দারকে বাধ‍্য হয়ে তার নিজের সন্তানের প্রতি ভালোবাসার এক চরম পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়।

ইলাইজা চলচ্চিত্র দুই বাংলার স্বনামধন্য অভিনেতাদের স্থান দিয়েছে। তাছাড়া পশ্চিমা অভিনেতাদেরও সুযোগ দিয়েছে। নাট্য ব্যক্তিত্ব এজাজ আলম ও মিথিলা গাজী এবং পশ্চিমবঙ্গের দেবজানী ব‍্যানার্জি মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া অন‍্যান‍্য চরিত্রে অভিনয় করেন নিউইয়র্কের থিয়েটার অভিনেতা টিটো গাজী, সামাদ আলমগীর, মীর আজম ও শিল্পী শারমিন আখতার। চলচ্চিত্রটি বাংলা ও ইংরেজিতে নির্মিত।

রাজীদ বলেন, “আমি চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে এমন এক ছবি নির্মাণ করতে চেয়েছি, যেটা আমার নিজের দেশী কমিউনিটির কথা বলবে। কারণ আমরা যদি আমাদের গল্প না বলি, তাহলে অন্য কেউ বলবে সেটা প্রত‍্যাশাই করা যায় না।”

এমি পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা আন্দ্রিয়া ওয়েজ বলেন, “এই চলচ্চিত্রটি মানুষের মনোবল ও সাহসিকতার উদাহরণ দাঁড় করায়।”