রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

আমরা নিউইয়র্ককে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নিরাপদ সিটি হিসেবে ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত কার্যকর জননিরাপত্তা পরিকল্পনার ফলে নিউইয়র্ক সিটির রাস্তা ও পাতাল রেলগুলো আরো নিরাপদ হযেছে বলে জানিয়েছেন সিটির মেয়র এরিক ‌অ্যাডামস্।

সোমবার (সেপ্টেম্বর ১৬) কমিউনিটি অপ-এডে তিনি বলেন, ‘গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় আগস্ট মাসে শহরজুড়ে অপরাধ ছয় দশমিক চার শতাংশ কমেছে।, নিউইয়র্ক সিটির পাঁচটি বরোজুড়ে টানা আট মাস ধরে সামগ্রিক অপরাধ হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। অপরাধের সামগ্রিক প্রবণতা কমছে। উপরন্তু, ১৯৯৪ সালে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) অপরাধ পরিমাপ করার জন্য কম্পুস্টাট ব্যবহার শুরু করার পর থেকে গেল বছরের আগস্টে সবচেয়ে কম গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গেল মাস ও পুরো বছর ধরে, হোমোসাইডের সংখ্যা দ্বিগুণ কমেছে। গাড়ি চুরি ও ডাকাতির ঘটনাও দ্বিগুণ কমেছে।’

সাবওয়েতে নিউ ইয়র্কবাসীর নিরাপত্তা বজায় রাখা অপরিহার্য বলে মনে করেন এরিক অ্যাডামস্।

তিনি বলেন, ‘পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম সিটির হৃদস্পন্দন। এ কারণে, ফেব্রুয়ারিতে আমরা পাতাল রেল ব্যবস্থায় পুলিশের সংখ্যা এক হাজারের বেশি বাড়িয়েছি এবং ক্যামেরা ও ডেটা-চালিত অফিসার স্থাপনার মত নয় প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছি। এর ফলে, ডাকাতি সর্বকালের সর্বনিম্নে এবং পরিবহন অপরাধ সামগ্রিকভাবে টানা সাত মাসে কমেছে। আমরা জানি, প্রতিটি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন চাহিদা রয়েছে ও জননিরাপত্তা বাড়াতে সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এ কারণে, আমরা অপরাধ কমাতে ও জীবনযাত্রার মান বাড়াতে উদ্ভাবনী পদ্ধতির সন্ধান করতে শহরব্যাপী সব অংশীদারকে একত্রিত করছি। বেআইনি বিক্রি, খুচরা চুরি, পদার্থের ব্যবহার, মানসিক স্বাস্থ্য সংকট, ভারা ও লাইসেন্সবিহীন গাঁজার দোকানের মত সমস্যাগুলোর আমাদের রাস্তায় কোন স্থান নেই। আমাদের প্রশাসন দায়মুক্তির সংস্কৃতি সহ্য করবে না। এ কারণে, আমরা ‘কমিউনিটি লিঙ্ক’ প্রোগ্রাম শুরু করেছি, যা আমাদের সিটিকে সকলের জন্য একটি নিরাপদ এবং আরো বাসযোগ্য জায়গা করে তুলতে বেশ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিবেশী অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে। আমরা হারলেমের ১২৫তম স্ট্রিট এবং লোয়ার ইস্ট সাইডের ১৪তম স্ট্রিট, ১১০তম স্ট্রিটের কাছে সেন্ট্রাল পার্ক এবং ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কের চারপাশসহ সিটির অন্যান্য জায়গাগুলোতে যেখানে মানুষের জীবনযাত্রার মান নিয়ে অগ্রহণযোগ্য সমস্যাগুলো লক্ষ্য করেছি, কমিউনিটি লিঙ্ক তৈরি করেছি। উন্নয়নশীল এ কৌশলের মাধ্যমে সম্প্রদায়টি তাদের বাড়িতে সরাসরি কাস্টমাইজড শহর পরিষেবা প্রদানে সক্রিয়ভাবে জড়িত।’

এরিক অ্যাডামস্ আরো বলেন, ‘গেল সপ্তাহেই আমি এনওয়াইপিডি, স্যানিটেশন বিভাগ, স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যবিধি বিভাগ, পার্ক ও বিনোদন বিভাগ এবং অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের নিয়ে ‘অপারেশন ফ্রন্ট ডোর’ চালু করতে সমবেত হয়েছিলাম। এ উদ্যোগটি টাইমস স্কয়ার এবং এর আশপাশের এলাকা, যা পৃথিবীর প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত, সেখানে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর ওপর লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। এক রাতেই আমরা ৩৬টি অবৈধভাবে পরিচালিত পেডিক্যাব আটক করেছি, ৪৫টি সমন জারি করেছি এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা লঙ্ঘনের কারণে ছয়টি ফুড ট্রাক বন্ধ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘টাইমস স্কয়ার আমাদের সিটির স্বাগত জানানোর স্থান, যেখানে আতিথেয়তা, বিনোদন, পর্যটন ও ব্যবসায়িক খাতের মিলন ঘটে। প্রতিনিয়ত লাখ লাখ পর্যটক টাইমস স্কয়ারে আসেন এবং প্রায়ই অবৈধ বিক্রেতা ও পেডিক্যাবের লক্ষ্যবস্তু হন। এসব অবৈধ বিক্রেতা ও পেডিক্যাবের অনিরাপদ ও নিয়ন্ত্রণহীন কার্যকলাপ শুধুমাত্র পর্যটকদের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলে না, বরং সৎভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে চাওয়া বৈধ ব্যবসায়গুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ‘অপারেশন ফ্রন্ট ডোর’-এর মাধ্যমে আমরা টাইমস স্কয়ারকে নিউ ইয়র্কবাসী, পর্যটক ও ব্যবসায়ের জন্য নিরাপদ রাখতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

সবশেষে, এরিক অ্যাডামস্ বলেন, ‘আমরা আমাদের শহরকে, নিউ ইয়র্কবাসীর জন্য নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও বাসযোগ্য করে তোলার একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা এমন উন্নতি করছি; যা নিউ ইয়র্কবাসী প্রতিদিন অনুভব করছে। আমরা নিউইয়র্ককে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নিরাপদ বৃহত্তম শহর হিসেবে ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’