নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: নিউইয়র্কে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে গিয়েও প্রশ্নের উত্তর দিলেন না যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর ডয়চে ভেলের।
অভিযোগ ছিল, তার এস্টেটের দাম অনেক বেশি করে দেখিয়ে ঋণ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল। ট্রাম্পের দাবি, তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু মার্কিন সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিককে কিছু অধিকার ও সুবিধা দেয়া হয়েছে।
কী নিয়ে তদন্ত? নিউইর্কের স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিলিয়া জেমস খতিয়ে দেখছেন, ট্রাম্প তার এস্টেটের দাম অনেক বাড়িয়ে বলেছিলেন কি না?
ট্রাম্প ও তার ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এ জেরা এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা মামলায় হেরে যান। গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে যাবেন।
ডনাল্ড জুনিয়র ও ইভাঙ্কার জুলাইতে সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের মায়ের মৃত্যুর জন্য সেই সাক্ষ্যদান স্থগিত থাকে।
লেটিলিয়া জেমস জানিয়েছেন, তদন্তের ফলে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয় সামনে এসেছে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে নিউইয়র্কের এক বিচারক বলেন, তদন্তের জন্য জরুরি নথিপত্র ট্রাম্প দেন নি।
ট্রাম্প যা বলছেন: ট্রাম্প বলছেন, তিনি কোন ভুল কাজ করেন নি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের তদন্ত শুরু হয়েছে। ট্রাম্প বলছেন, ‘এটা হল আমেরিকার ইতিহাসে গ্রেটেস্ট উইচ হান্ট। আমাকে ও আমার মহান সংস্থাকে চারদিক থেকে আক্রমণ করা হচ্ছে।’
ক্যাপিটলে তার সমর্থকদের উসকানি দেয়ার জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এফবিআই তার ফ্লোরিডার এস্টেটে গিয়ে তল্লাশি করেছে। ট্রাম্প বলছেন, ‘এসবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’