শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

শিরোনাম

আমাদের দেশে এনার্জি খাতে বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তুলনামূলক কম

রবিবার, জুলাই ৩০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগিতায় এবং সরকারের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) অধীনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শিক্ষা খাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তায় দুই বছর মেয়াদি জিএআরই প্রজেক্টের অর্থায়নে ‘গ্যাস সম্পদ মূল্যায়নের জন্য এআই-ভিত্তিক ভবিষ্যদ্বাণীমূলক মডেলের প্রয়োগ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএমই বিভাগের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং জিএআরই প্রজেক্টের সিলেকশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটির প্রেসিডেন্ট মো. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ব্যানবেইসে মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমান ও চুয়েটের যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিএমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সানাউল রাব্বী। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চুয়েটের পিএমই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও জিএআরই প্রজেক্টের প্রধান গবেষক মোহাম্মদ ইসলাম মিয়া। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন গবেষণা প্রজেক্টের সহকারী গবেষক ও পিএমই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিএমই বিভাগের প্রভাষক মো. আশিকুল ইসলাম শুভ। কর্মশালায় পিএমই বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী ও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

কর্মশালায় মো. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গবেষণাকে উৎসাহিত করতে ও উচ্চ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা জেনেছি, চুয়েটের শিক্ষক ইসলাম মিয়ার গবেষণাকর্মটি একটা ভাল কাজ হয়েছে। এনার্জি সেক্টরে এইআইকে সম্পৃক্ত করায় একে নতুনত্ব এনে দিয়েছে। এটা আমাদের এনার্জি সেক্টরকে স্বপ্ন দেখাবে। পেট্রোলিয়াম সেক্টর দেশের জন্য বিশাল গুরুত্বপূর্ণ। এনার্জি সেক্টর সম্মৃদ্ধ করা ও আত্মনির্ভরশীল করা উচিত। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে আমাদের বিশেষজ্ঞ দরকার, ভাল গবেষণা দরকার। কিউএস র‌্যাংকিংয়ে চুয়েটের অবস্থান ভাল খবর। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়ন, গুণগত গবেষণা। সে জন্য আমরা আউটকাম বেইসড কারিকুলামে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা কী পড়ছে আর কী শিখছে, কোন শিক্ষাটা শিক্ষার্থীদের কাজে দিবে। শিক্ষা ও গবেষণাকে সমাজের সাথে জনসম্পৃক্ত করতে হবে। সেভাবেই আমরা কারিকুলাম সাজাতে চাই।’

মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘এনার্জি সেক্টর টেকসই না হলে দেশের উন্নয়নও টেকসই হবে না। আমাদের দেশে এনার্জি খাতে বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তুলনামূলক কম। এনার্জি ও পেট্রোলিয়াম সেক্টরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহার আমাদের দেশে নতুন। চুয়েটের পিএমই বিভাগের এ গবেষণার যথাযথ প্রয়োগ হলে দেশের এনার্জি ক্রাইসিস দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি ব্লু-ইকোনমি আমাদের দেশের জন্য একটা ভাল সুযোগ। আশা করি, পিএমই বিভাগ এ খাতেও তাদের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।’