শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

আমার ওপর এবার একটু রহম করো: পরীমণি

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: বাংলাদেশী চলচ্চিত্রঅভিনেত্রী পরীমণি ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলমান আলোচনা-সমালোচনার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে গণমাধ্যম ও ভক্তদের প্রতি তার আকুতি প্রকাশ পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে পরী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আজ কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করলো আমার। নিজের সাথে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সবগুলোই।’ এরপর তিনি উল্লেখ করেন, কেন গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এত মাতামাতি করেন, কেন তার কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন বেশি আলোচিত হয় এবং কেন পূর্ববর্তী অভিনেত্রীদের সময় এমনটা দেখা যেত না ‘

এই নায়িকা আরও লেখেন, ‘নিজেকে থামিয়ে দিলাম এরকম হাজারো প্রশ্নের থেকে। কারণ, জীবনে কখনো কখনও নিজের কর্ম অবস্থানের থেকে খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়ে ওই জীবনটা। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে। আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি কইরেন না আল্লাহর ওয়াস্তে।’

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, তার ক্যারিয়ারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ এখন তার সন্তানদের সুন্দর জীবন দেওয়া। ‘আমি আমার বাচ্চাদের মা, একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চটা দিতে চাই। যেমন করে হয়তো সব মায়েরাই চায়!’

এই অভিনেত্রী তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘গত তিন-চার মাস তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল। তিনি বলেন, ‘কেন/কী জন্য সেটা বলার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি।’

তার বক্তব্যে স্পষ্ট, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অব্যাহত আলোচনার কারণে তিনি বিরক্ত ও মানসিকভাবে ক্লান্ত।

‘আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সব কিছু ছাড়িয়ে আমি একজন মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি- হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার উপর এবার একটু রহম করো। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেবো।’

মূলত গণমাধ্যম ও ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরী, যেন তারা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর অতিরিক্ত মাতামাতি না করেন। অভিনেত্রী চান, তার কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হোক এবং তার ব্যক্তিগত জীবনকে তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে রাখা হোক।