জেরুজালেম, ইসলাইল: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ইহুদিদের মধ্যে হামাসের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী আমেরিকান-ইহুদি তরুণদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
জরিপটি করেছে ইসরাইলের প্রবাসীকল্যাণ ও ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইহুদি তরুণ-তরুণীদের ওপর ভিন্নধর্মী জরিপ চালিয়েছে ইসরাইল। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ‘আমি হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল’-এ বক্তব্যকে ‘সমর্থন’ বা ‘শক্ত সমর্থন’ দিয়েছেন ৩৬ দশমিক সাত শতাংশ আমেরিকান-ইহুদি তরুণ।’
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আরো কয়েকটি দেশে জরিপ চালানো হয়। তবে, সেসব দেশে ইহুদি তরুণদের মধ্যে সাত শতাংশ হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী আমেরিকান-ইহুদি তরুণদের ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ একমত পোষণ করেছেন যে, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। তবে, পৃথিবীর অন্য প্রান্তে এর পক্ষে মত দিয়েছে দশ শতাংশ। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে ৬৬ শতাংশ ইহুদি কিশোর-কিশোরী।
জরিপে দেখা গেছে, এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইসরাইলপন্থি মনোভাব পোষণ করে, যেমন ৬২ শতাংশ আমেরিকান-ইহুদি তরুণ নিজেদের ইহুদিবাদী বলে বিবেচনা করেন। অন্য দিকে, ৮৪ শতাংশ বলেছে, ‘একটি ইহুদি রাষ্ট্র’ হিসেবে ইসরাইলের টিকে থাকার অধিকার রয়েছে।’
গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে খুন করে হামাস। এছাড়া, দুই শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
তবে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে যেখানে উদ্ধারকারীরা ঢুকতে পারেননি- এমন জায়গায় হাজার হাজার মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে।