তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে লক্ষ্যে সৌদি আরবে আলোচনায় বসছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো। তবে এই শান্তি আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ইউক্রেনকে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলগ এর আগে জানিয়েছিলেন, সোমবার সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনায় কিয়েভের প্রতিনিধি থাকবে। তবে সূত্র জানিয়েছে যে, এই শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকছেন না।
এই আলোচনায় ইউরোপীয় নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই বিতর্কের মধ্যেই সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্যারিসে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে ইউরোপীয় নেতাদের।
হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ নিশ্চিত করেছেন, ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা হবে।
আলোচনায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। রোববার সন্ধ্যায় তারা সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে হোয়াইট হাউসে জানিয়েছে।
তবে রাশিয়া থেকে কারা এই বৈঠকে যোগ দেবেন, তা এখনো জানা যায়নি। এই বৈঠক ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন জেলেনস্কির পশ্চিমা মিত্ররা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন ইস্যুতে সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সম্মেলনে বসতে যাচ্ছেন ইউরোপের নেতারা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ঠিক রাখতে কাজ করবে যুক্তরাজ্য।
রাশিয়ার হুমকি রুখতে ও ইউক্রেনের ভবিষ্যত রক্ষায় ন্যাটোতে ইউরোপের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন কিয়ার স্টারমার। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই সম্মেলন ডেকেছেন বলে খবর চাউর হয়েছে। তবে এখনো কোনো ঘোষণা দেননি তিনি।